পেহেলগামে হামলার জের ধরে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত। আজাদ কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি স্থানে ভারতের ওই হামলায় ২ শিশুসহ কমপক্ষে ৮ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন।
ভারতের হামলার পরই পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালায় ভারতের জ্মু-কাশ্মীরে। এতে কমপক্ষে ৩ জন নিহত হন।
পাল্টাপাল্টি এসব হামলার পর উত্তর ভারতের বহু বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর।
আন্তর্জাতিক বিমানও অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই মর্মে যাত্রীদের সুবিধার্থে বিবৃতি জারি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেট, ইন্ডিগোর মতো ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলো।
এয়ার ইন্ডিয়ার এক্স হ্যান্ডলে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, জোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট থেকে বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সব বিমান বাতিল করা হয়েছে।
এই বিমানবন্দরে যেসব বিমান নামার কথা ছিল, সেগুলিও আপাতত বাতিল করা হয়েছে। অমৃতসরগামী দু’টি আন্তর্জাতিক বিমান দিল্লিতে অবতরণ করানো হবে। যাত্রীদের সমস্যার জন্য আমরা দুঃখিত।
স্পাইসজেট জানিয়েছে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে ধর্মশালা, লেহ, শ্রীনগর, অমৃতসর-সহ উত্তর ভারতের একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই বিমানবন্দরগুলিতে বিমানের ওঠানামা প্রভাবিত হতে পারে। এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে সবাইকে যাত্রার পরিকল্পনা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
ইন্ডিগোর পোস্টে বলা হয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে শ্রীনগর, জম্মু, অমৃতসর, লেহ, চণ্ডীগড়, ধর্মশালা থেকে আমাদের সব বিমান বাতিল করা হয়েছে। এই বিমানবন্দরগুলিতে আমাদের কোনো বিমান নামবে না।
বিমানবন্দরে পৌঁছোনোর আগে আপনারা বিমান সংক্রান্ত তথ্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে জেনে নিন। পরে জোধপুর এবং বিকানেরের বিমান পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিগো।
পেহেলগামে ২৬ জনের মৃত্যুর পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত হেনেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’।
ভারতের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মধ্যরাতে পাকিস্তানের সীমান্তে সেনাঘাঁটিগুলি ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতের এই হামলাকে ‘বিনা প্ররোচনায় কাপুরুষোচিত হামলা’ বলে উল্লেখ করেছে পাকিস্তান। যোগ্য জবাব দেওয়ার কথাও জানিয়ে পাল্টা হামলাও শুরু করেছে।
নদীবন্দর/জেএস