1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়ংকর তথ্য দিল জাতিসংঘ - Nadibandar.com
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন
নদীবন্দর,ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
  • ১ বার পঠিত

রাজধানী দিল্লি থেকে ৪০ জন রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে বঙ্গোপসাগরের পাশে আন্দামান সাগরে নিয়ে ফেলে দিয়েছে ভারত। এমনই এক ভয়ংকর তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস।

শুক্রবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এপি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বলছে, ভারত সরকার সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া জোরদার করেছে। এর অংশ হিসেবে ভারতীয় নৌবাহিনী ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সাগরে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্বের অন্যতম নিপীড়িত জনগোষ্ঠী এই রোহিঙ্গারা। ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। ওই সময় ভারতে প্রবেশ করেন ২২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা, যাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।

তবে, রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না ভারত সরকার। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখে আসছে তারা। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগও আনা হয়েছে দেশটিতে। আইনগতভাবে ভারতে কেউ শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে পারেন না। তাই সব রোহিঙ্গাকে দেশটি অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করে।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর দাবি, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে নিষ্ঠুরতা অবলম্বন করছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।

এর মধ্যে গত সপ্তাহের একটি ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গত ৬ মে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে পুলিশ বেশ কিছু রোহিঙ্গাকে আটক করে। এর মধ্যে ৪০ জনকে চোখ বেঁধে প্রায় ১ হাজার ৫০০ মাইল দূরের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে তাদের ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজে তোলা হয়। জাহাজটি আন্দামান সাগরের কাছে মিয়ানমারের তানিনথারি অঞ্চলের দিকে যাত্রা করে।

ওই জাহাজে থাকা রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, তানিনথারির কাছে পৌঁছানোর পর তাদের লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয় এবং সাগরে ঝাঁপ দিতে বাধ্য করা হয়। ওই সময় তাদের মিয়ানমারের একটি দ্বীপে সাঁতরে চলে যেতে নির্দেশ দেয় ভারতীয় সেনারা।

ভারতের মানবাধিকার সংগঠন পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ (পিইউসিএল) জানিয়েছে, যাদের পানিতে ফেলা হয়েছিল তাদের মধ্যে কিশোর, বয়স্ক এবং ক্যানসার রোগীও ছিলেন। তবে, ভাগ্য সহায় হওয়ায় ওই ৪০ রোহিঙ্গার সবাই জীবিত অবস্থায় তীরে পৌঁছাতে সক্ষম হন। তাদের কয়েকজন জানিয়েছেন, তাদের মারধর ও অন্যান্য নির্যাতন করেছেন ভারতীয় নৌ সেনারা।

মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ বলেছেন, নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাগরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত ভয়াকন। আমি এই ঘটনার বিষয়ে আরও তথ্য ও সাক্ষ্য সংগ্রহ করছি এবং ভারত সরকারকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

এর আগে, গত সপ্তাহে বাংলাদেশেও ৭৮ জনকে পুশ ইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তাদেরকে গুজরাট থেকে ধরে এনে সুন্দরবনে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়েছিল। গত ১০ মে এসব মানুষকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ। অভিযোগ আছে, তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমনকি তাদের না খাইয়ে রাখা হয়েছিল।

নদীবন্দর/ইপিটি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com