ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন দল নিবন্ধনের আবেদনপত্রগুলো যাচাই-বাছাই শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ছোটো-খাটো ত্রুটি বিচ্যুতি বা কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলে তা পূরণের জন্য তথ্য চেয়ে ১৫ দিন সময় দেবে সংস্থাটি।
ইসি কর্মকর্তা জানান, দল নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদনের সঙ্গে জমা দেওয়া কাগজপত্রের মধ্যে কোনো ধরনের অসঙ্গতি, নাম-পদবীর বানানসহ ছোটোখাটো তথ্যের ঘাটতিও থাকতে পারে। এ ধরনের ত্রুটিগুলো ঠিক করে আবার কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা দলগুলোকে ১৫ দিন সময় দিয়ে চিঠি দেওয়া হবে। এরপরই যাচাই-বাছাইয়ে টিকে থাকা দলগুলোর বিষয়ে গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা, কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে অফিসসহ নিবন্ধন শর্তগুলোর দলিলাদি ঠিক আছে কিনা তা তদন্ত করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘কমিটির বৈঠক হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তথ্য চেয়ে দলগুলোকে আমরা একটা সময় দেব, এ সংক্রান্ত চিঠিও দেওয়া হবে। চিঠি দেওয়ার দিন থেকে ১৫ দিন সময় পাবে; নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাহিত ত্রুটি ঠিক করতে পারবে। এরপর তথ্য সঠিক আছে কিনা যাচাই হবে, তদন্ত হবে। শর্ত পূরণ করে সব ঠিক থাকলে যোগ্য দল নিবন্ধন পাবে।’
গত ২২ জুন ছিল রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদনের সময় শেষ হয়েছে। এদিন পর্যন্ত ১৪৪টি দলের ১৪৭টি আবেদন কমিশনে জমা পড়েছিল। যাচাই বাছাইকারী কর্মকর্তারা রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করবেন। এরপর তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর তদন্ত করা হবে। তদন্তে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলো নিয়ে দাবি-আপত্তি আহ্বান করবে ইসি। আপত্তি থাকলে শুনানি করে নিষ্পত্তি হবে। আর আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলকে নিবন্ধন দেওয়া হবে।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলগুলোর একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি, কার্যালয় ও ২০০ ভোটার সমর্থক থাকতে হয়। এছাড়া পূর্বের কোনো নির্বাচনে দলটির নির্বাচিত কোনো সদস্য থাকলে ও কোনো নির্বাচনে কমপক্ষে ৫ শতাংশ ভোট পেলে নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য হিসেবে ধরা হয়। এছাড়াও অন্যান্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধন প্রত্যাশী শ’খানেক দলের মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে আবেদন বাতিল হয় ৮১টির; ১২ দলের তদন্ত হয়। শেষে মাত্রা ২টি দল নিবন্ধন পায়। বর্তমানে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৫০টি।
নদীবন্দর/ইপিটি