রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় পুরো জাতি এখন শোকে স্তব্ধ। যে যেখানে আছেন হতাহতদের জন্য প্রার্থনা করছেন। আর যারা পারছেন সরাসরি এসে কোনো না কোনোভাবে সহায়তার চেষ্টা করছেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া আহতদের রক্ত দানে দ্রুত সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন বহু মানুষ।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আহতদের জীবন বাঁচাতে রক্তদানের জন্য জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মানুষের ঢল নেমেছে। অসংখ্য মানুষ স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে ছুটে এসেছেন, যা দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
দগ্ধদের মধ্যে অন্তত ৫০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের জীবন বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজন মেটাতে হাসপাতাল চত্বরে ভিড় করেছেন কয়েকশ মানুষ। তবে পজিটিভ রক্তের পর্যাপ্ত সংখ্যক ডোনার থাকলেও নেগেটিভ গ্রুপগুলোর রক্তের সংকট রয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, দগ্ধ রোগীদের অনেকের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে। তাদের চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে প্রচুর রক্তের প্রয়োজন। এই খবরে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন মানুষ। হাসপাতালের গেটের বাইরে রক্তদাতাদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। অনেকে আবার একসঙ্গে কয়েকজনকে নিয়ে এসেছেন।
হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা রক্তদাতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সংবাদ দেখে আর ঘরে বসে থাকতে পারিনি। বাসা থেকে স্ত্রীকেও সঙ্গে এনেছি। সে ‘ও’ পজিটিভ, আমি বি নেগেটিভ— যার যেখানে দরকার হবে, রক্ত দিতে রাজি আছি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও রক্তের আবেদন ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন রক্তদাতা সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ রক্ত দিতে ছুটে আসছেন বার্ন ইনস্টিটিউটে।
নদীবন্দর/এএস