থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করতে যাওয়া ভুক্তভোগীদের হয়রানি কমাতে সব থানায় অনলাইন জিডিব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন। গত ২৩ জুলাই প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশ বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রথম সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এছাড়াও চাকরির জন্য সব পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এতে সুপারিশ করা হয়েছে, জিডি করার ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে অনলাইন জিডি গ্রহণ সর্বোত্তম ও সমাধান। কারণ অনলাইনে জিডি দায়ের করা হলে তা গ্রহণ না করার কোনো অবকাশ নাই। ইতোমধ্যে ৭৫ ভাগ থানায়/ইউনিটে অনলাইন জিডি কার্যক্রম চালু হয়েছে। সকল থানায় পর্যায়ক্রমে অনলাইন জিডি কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২২ জুলাই পর্যন্ত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে হারানো জিনিস উদ্ধার ব্যতীত মোট ৪২ হাজার ৯৩৪টি জিডি দায়ের হয়েছে। যার মধ্যে ৫ হাজার ৮০৬টি জিডি অনলাইনে দায়ের হয়েছে। তবে মোট জিডির ২৫ ভাগ বর্তমানে অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। যে কারণে শতভাগ থানায় অনলাইন জিডিব্যবস্থা চালু করার সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকের বিষয়ে জানা গেছে, ৫টি সংস্কার কমিশনের দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য বাছাইকৃত ১২১ প্রস্তাবের মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশনের ১৩টি (মূলত ১১টি) সংস্কার প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য হিসেবে বাছাই করা হয়েছে।
এদিকে রাজনৈতিক মতাদর্শ চাকরিপ্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্টের অংশ হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে সংস্কার কমিশনের বৈঠকে।
প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের কার্যবিবরণীতে বলা হয়, চাকরিপ্রার্থীর বিভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা/শিক্ষা সনদপত্র/ ট্রান্সক্রিপ্ট/মার্কশিট ইত্যাদি যাচাই-বাছাই পুলিশ ভেরিফিকেশনের অংশ হবে না– সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। রাজনৈতিক মতাদর্শ চাকরিপ্রার্থীর ভেরিফিকেশন রিপোর্টের অংশ হবে না–সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, পদোন্নতির ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাওয়ার বিধান বাতিলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চাকরিপ্রার্থী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে সেই তথ্য রিপোর্টে প্রতিফলিত হবে। চাকরির জন্য সব পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নদীবন্দর/ইপিটি