ভারতের উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দেড় শতাধিক। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তপোবন বিদ্যুৎপ্রকল্পের সুড়ঙ্গ থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া সাতজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে রেনি গ্রাম থেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত যে ৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার মধ্যে চামোলি থেকে ৪১ জনের, রুদ্রপ্রয়াগ থেকে সাত জনের, পৌরি গাড়োয়াল এবং তেহরি গাড়োয়াল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ জনকে শনাক্ত করা গেছে।
রোববার মরদেহ উদ্ধারের পর উদ্ধারকাজের গতি আরও বাড়ানো হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা।
সীমান্ত পুলিশের মুখপাত্র বিবেক পাণ্ডে জানিয়েছেন, কাদা এবং পাথর সরানোর সময় সুড়ঙ্গ থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনকে শনাক্ত করা গেছে। একজন হলেন তেহরির বাসিন্দা অমল সিংহ এবং অপরজন হলেন অনিল। তিনি দেহরাদূনের বাসিন্দা।
কমপক্ষে ৩৯ জন এখনও সুড়ঙ্গের ভেতর আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কৌশল বদল করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আটকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এনটিপিসি’র জেনারেল ম্যানেজার। তিনি জানান, সুড়ঙ্গের ভেতরে ড্রিল করে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। ভেতরে ক্যামেরা ঢুকিয়ে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভেতরে জমে থাকা পানিও পাইপের সাহায্যে বের করা হচ্ছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে জোশীমঠের কাছে ওই তুষারধসের ঘটনা ঘটে। এর জেরে ধোলিগঙ্গায় জলস্তর প্রবলভাবে বেড়ে যায়। তীব্র জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় অনেকগুলো গ্রাম। এমনকি সেতুও ভেঙে পড়ে। পাশাপাশি দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে একটি তপোবন-বিষ্ণুগড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র।