মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনে সমর্থন দিয়ে যাবে মিসর।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে মিসরের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হেথাম গোবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে একথা বলেন। সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলাতে মিসর বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী সকল ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’র কথা উল্লেখ করেন। বলেন, ইসলামে সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই। এছাড়া সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে মুসলিম উম্মাহর একজন ‘অনুকরণীয় নেতৃত্ব’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, মিসরের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসা সম্প্রসারিত করতে বাংলাদেশে শিল্প কারখানা স্থানান্তর করতে পারে। এখানে শিল্প স্থাপনে বাংলাদেশের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে।
এ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা এটি বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে করতে পারেন। বিদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য এখানে আকর্ষণীয় বাজার থাকার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
মিসরের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হেথাম গোবাসী বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রীকে জানান, অন্যান্য ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোর পাশাপাশি মিসর প্রাকৃতিক গ্যাসে সহযোগিতার জন্য ‘পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় ফোরাম’ নামে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেছে। এতে বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নদী বন্দর / এমকে