রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রথম ডোজের এ পর্যন্ত ১৩ শ ৫১ টি টিকা গ্রহন করেছেন গোদাগাড়ী মানুষ। গত ২৭ জানুয়ারী দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার পর থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম বেশ ভালভাবে ছলছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি বহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, পুলিশ জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রশাসনের কর্মকতা কর্মচারীসহ সাধারনের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান গোদাগাড়ীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ এ প্রতিবেদকে জানান, আমি করোনা ভাইরাসের টিকা নিলাম, সুস্থ্য আছি, কোন প্রকার আসুবিধা হয় নি। কোন আপপ্রচারে কান না দিয়ে সকলের টিকা গ্রহন করা উচিৎ। মাদারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খালেকুল ইসলাম বলেন, আমি নিজের মোবাইলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেছি, কয়েকজনকে করে দিয়েছি। রশিদ নিয়ে এসে করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহন করলাম। সুস্থ্য আছি, ভাল লাগলো সবার গ্রহন করা প্রয়োজন। ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে হবে বলে স্বস্থ্য কর্মকর্তাগণ জানিয়েছেন। একই মন্তব্য করেন প্রধান শিক্ষক নাজিমুদ্দিন সিদ্দিক, সহকারি শিক্ষক মামুন।
মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী মোঃ শামীম রেজা বলেন, টিকা গ্রহন করার পর সুস্থ্য আছি, হোন্ডা চালিয়ে বাড়ী আসলাম কোন প্রকার আসুবিধা হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবে কাজ কাম করচ্ছি। ইউ এইচ এন্ড এফপিও ডা. মোঃ আবু তালেব বলেন, মানুষের মধ্যে ভ্যান্ত ধারনা, অপপ্রচার ছিল। কিন্তু এখানে যারা টিকা নিয়েছেন তারা সবাই সুস্থ্য আছেন, ডাক্তার, নাস, মাঠ পর্যারের কর্মীরা ঠিকা গ্রহন করেছেন। তাই এলাকার ৪০ বছরের উর্দ্ধে সকল মানুষকে নির্ভয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রেমতলীতে এসে টিকা গ্রহনের অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা। তিনি আরও জানান, ধর্মীয় প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, পুলিশ, সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারি, আনসার, ভিডিপিসহ কয়েকটি সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বয়সের বার প্রয়োজ্য নয়। তিনি বলেন গোদাগাড়ীর জন্য ২ হাজার ২ শ ৯৫ টি পেয়েছিলাম, আজকে ২শ ৩১ ডোজ টিকা গ্রহন করেছেন। এ পর্যন্ত দেয়া হয়েছে ১৩শ ৫১ টি টিকা।
নদী বন্দর / এমকে