এক সময় সারাদেশে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও পর্যটন শহর কক্সবাজার ও সমুদ্রসৈকতেও ছিল এর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু যুগের সঙ্গে হারিয়ে গেছে সেই বাহন। বলতে গেলে বিলুপ্তির মুখে ঘোড়ার গাড়ি। আধুনিক যানবাহনের ভিড়ে এখন কেউই ঘোড়ায় চড়তে চান না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ার এক ঘোড়া মালিক গণমাধ্যমকে বলেন, বয়সের ভারে অধিকাংশ ঘোড়া নুয়ে পড়েছে। তাদের দিয়ে আর মালামাল আনা-নেয়া বা পর্যটকদের চড়িয়ে টাকা উপার্জন সম্ভব হচ্ছে না। কক্সবাজার শহরে ছোট-বড় ১৮ থেকে ২০টি ঘোড়া রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই মালামাল বা যাত্রী পরিবহনের অযোগ্য। মাত্র ৫-৬টি ঘোড়া সৈকতে এখনো পর্যটকদের চড়িয়ে বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে।
জানা গেছে, ঘোড়ার পরিচর্যা, খাবার ও প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় হিসাব শেষে তেমন একটা লাভ থাকে না। ফলে এ পেশা থেকে অনেকেই ছিটকে পড়েছেন। মূলত সমুদ্রসৈকতে এখন ইজিবাইক ও স্পিডবোটের চাহিদা ও দাপট বেশি।
কক্সবাজারের সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার বলেন, এক সময় পর্যটকদের জনপ্রিয় বাহন ছিল ঘোড়া কিংবা ঘোড়ার গাড়ি। তখন ঘোড়ার সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। বর্তমানে ঘোড়া নেই বললেই চলে।