বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে কলকাতায় সমাবেশ করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিগ্রেডের মঞ্চে ওঠেই বললেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এত বড় জনসভা দেখেননি। আজ রবিবার দুপুরে তিনি এই কথা বলেন।
মোদি বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এত বড় সভা দেখিনি। হেলিকপ্টার থেকে দেখছিলাম। ময়দানে জায়গা নেই। রাস্তায় লোক উপচে পড়ছে। মনে হয় না ওরা পৌঁছতে পারবেন। এই সভা সফল করার জন্য সকলকে প্রণাম জানাই।
তিনি একগুচ্ছ অঙ্গীকার করেন। সঙ্গে জানান, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ক্ষমতায় আসার পালা এবার।
মোদি বলেন, বাংলা কী হারিয়েছে, তা আপনারা আমার চেয়ে ভালো করে জানেন। যা বাংলা থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো ফিরিয়ে আনব। ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছরে প্রবেশ করছে, বাংলা এক নতুন উদ্যম ও সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মতোই বাংলার উন্নতিতে আগামী ২৫ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ২৫ বছরের সূচনার প্রথম ধাপ এই বিধানসভার নির্বাচন। ২৫ বছরের উন্নতির ভিত্তি হতে চলেছে নির্বাচন। শুধু বাংলায় সরকারের বদলের জন্য নয়, বাংলাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ভোট দেবেন।
আরও বলেন, ২০৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতার ১০০ বছর উদ্যাপন করবে, সেদিন দেশকে আবার নেতৃত্ব দেবে বাংলা। টি থেকে টুরিজম, পশ্চিমবঙ্গের মাটি ও সমুদ্রতে সবকিছু আছে। স্বচ্ছ মনে এগিয়ে যাওয়ার দরকার। কলকাতা সিটি অব জয়, কলকাতার অতীত ঐতিহ্যও রয়েছে। সম্ভাবনাও রয়েছে। কলকাতার সংস্কৃতিকে সুরক্ষিত রেখে সিটি অব ফিউচার তৈরি করার মতো সুযোগ রয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রযুক্তির বিস্তার, স্টার্টআপের পরিবেশ, সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করব। কলকাতা মেট্রোর সম্প্রসারণ আরও দ্রুততার সঙ্গে হচ্ছে। কলকাতায় উন্নয়নের ডবল ইঞ্জিন চালু হলেই সব বাধা কেটে যাবে। প্রতিটা ধাপে বাধার সম্মুখীন হই। এদের কমিশনবাজির জন্য কলকাতা বিমানবন্দর সংক্রান্ত সব কাজ আটকে রয়েছে। এমন আটকে থাকা কাজগুলোকে দ্রুতগামী করা যাবে। স্মার্ট সিটি প্রকল্পগুলো নতুন গতি পাবে।
মোদি পৌঁছানোর আগে মঞ্চে ওঠে বিজেপিতে যোগ দেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। গলায় উত্তরীয় পরিয়ে তাকে পদ্ম শিবিরে স্বাগত জানান পশ্চিম বঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
নদী বন্দর / জিকে