দেশের বিভিন্ন নদী ও খালের ওপর নির্মিত ৮০৫টি লোহার ব্রিজ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নির্বিঘ্ন নৌ-চলাচলের স্বার্থে প্রয়োজনীয় উচ্চতায় সেতুগুলো পুনর্নির্মাণ করার কথা বলেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
বুধবার (২৮ জুলাই) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
একনেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আয়রন ব্রিজ পুনর্নির্মাণ/পুনর্বাসন প্রথম সংশোধনী প্রকল্পটির বিস্তারিত বলতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৮০৫টি ব্রিজ ভেঙে নতুন করে এক হাজার ২৪৪টি আরসিসি/পিসি গার্ডার ব্রিজ পুনর্নির্মাণ বা পুনর্বাসন করা হবে। নির্বিঘ্ন নৌচলাচলের স্বার্থে প্রয়োজনীয় উচ্চতায় ব্রিজগুলো পুনর্নির্মাণ করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
শামসুল আলম আরও বলেন, ‘মোহাম্মদপুর বসিলা ব্রিজ কিন্তু আমাদের কোনো কাজে আসেনি। কিন্তু বর্তমানে এজন্য মোহাম্মদপুর নদী দিয়ে পণ্যবাহী কার্গোগুলো চলাচল করতে পারে না। এজন্য এই ব্রিজটি ভাঙার চিন্তা-ভাবনা চলছে। এছাড়া যেখানে সেখানে বালু না তুলতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বৈধভাবে ব্যবস্থা করা হলেও যেখানে সেখানে বালু তোলা যাবে না বলে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ব্রিজের উচ্চতা সঠিক রাখতে বলেছেন। এটি বলার কারণ হচ্ছে, বসিলা ব্রিজ যেমন, এখন হয়তো ভাঙার প্রয়োজন হবে।’
রাস্তার কারণে যাতে যান ও মানুষের চলাচল বাধাগ্রস্ত না হয়- এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সড়ক ও জনপ্রশাসন বিভাগকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে তিনি বলেন, রাস্তা নির্মাণ ও সম্প্রসারণে ওভারপাস, আন্ডারপাস ও ইউলুপ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বার্তা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এতদিন প্রবাসীরা আমাদের দিয়েছেন এখন আমরা তাদের দেব। যারা ফিরে এসেছেন তারা যেন সম্মানজনক কোনো পেশায় যুক্ত হতে পারেন। কিংবা আরও উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে আবারও বিদেশে ফিরে যেতে পারেন। এছাড়াও নারীদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রকল্প না নিয়ে রাজস্ব খাতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
নদী বন্দর / বিএফ