শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় রাবেয়া আক্তার (১৮) নামে এক তরুণী আত্মহত্যার আগে ছবিসহ একটি চিরকুট লিখে গেছেন। ওই তরুণীর পরিবার চিরকুটটি উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। তবে চিরকুটটি নিহত তরুণীর হাতের লেখা কিনা তা যাচাই করছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ডামুড্যা পৌরসভার কুলকুড়ি গ্রামের শরীফ মঞ্জিলে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। রাবেয়া আক্তার কনেশ্বর ইউনিয়নের সুতলকাঠি গ্রামের বিল্লাল সরদারের মেয়ে।
চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমি রাবেয়া, আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী জাকির আর জাকিরের ফ্যামিলির লোক। জাকিরের বাবা-মা বড় ভাই, ভাবি ও জাকিরের বোন। ওরা সবাই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। জাকির আমাকে যেমন এই পৃথিবীতে বাঁচতে দেয়নি আমি তার শাস্তি চাই, কঠিন শাস্তি চাই। আমাকে জাকির পৃথিবীতে থাকতে দেয়নি। আমিও চাই না যে জাকির পৃথিবীতে বেঁচে থাকুক। আমি জাকিরের মরণ চাই। সবার কাছে আমার একটা আবেদন, আমি জাকিরের কঠিন শাস্তি চাই, শাস্তি চাই। আমাকে মরে যেতে বাধ্য করেছে জাকির।’
নিহত রাবেয়ার স্বজন ফারুখ শাহ, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাবেয়া সম্প্রতি তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। রোববার রাতে খাবার খেয়ে একটি কক্ষে রাবেয়া ঘুমিয়েছিল। পরে সোমবার সকালে প্রতিবেশীরা রাবেয়ার মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
রাবেয়ার মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। জাকির নামের এক যুবকের ছবি সম্বলিত তার বিরুদ্ধে লেখা চিরকুট। জাকিরের সঙ্গে রাবেয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহমেদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, একটি চিরকুট উদ্ধার করেছি। চিরকুটটি নিহত তরুণীর হাতের লেখা কিনা তা যাচাই করছে পুলিশ।
নদী বন্দর / এমকে