লালমনিরহাটে নিজ ঘরে ফিরতে না পারা বানভাসি মানুষের জীবন কাটছে ভাসমান অবস্থায়। এখনও ডুবে আছে তাদের ঘর-বাড়ি। তাই আশ্রয় হয়েছে নৌকা, কলাগাছের ভেলা, অন্যের বাড়ি এবং ওয়াপদা বাঁধের উপর। কাটছে দুর্বিসহ জীবন।
এদিকে উঠানামা করেছে পানি। ঊঁকি দিচ্ছে নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ।
শুক্রবার ( ১লা জুলাই) বিকাল ৩টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানির সমতল ৫২.২৭ মিটার, (বিপৎসীমা= ৫২.৬০মিটার) যা বিপদসীমার ৩৩ সে.মি. নিচে। কাউনিয়া পয়েন্টে পানির সমতল ২৮.৯৭ মিটার, (বিপৎসীমা =২৯.২০মিটার) যা বিপৎসীমার ৫২ সে.মি. নিচে। ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪১সে.মি. নিচে।
পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার পরিবারগুলো পানিবন্দি। ইতোপূর্বে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো জলকপাট খোলা রয়েছে। তবে ভারতে পানির প্রবাহ কমে গেলে তিস্তার পানি আবারও কমবে। লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট, কুলাঘাট, বড়বাড়ী ইউনিয়ন ধরলা নদীর বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে রাস্তাঘাট, হুমকির মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ভেঙে গেছে বাড়ি-ঘর।
অপরদিকে রত্মাই, স্বর্ণামতি, সানিয়াজান, সাকোয়া, চাতলা, মালদহ, ত্রিমোহীনি, মরাসতি, গিরিধারী, গিদারী, ধোলাই, শিংগীমারী, ছিনাকাটা, ধলাই ও ভেটেশ্বর নদীতে বন্যার পানিও বাড়তে শুরু করেছে।
নদী বন্দর/এসএফ