সিরিজ শুরুর আগে ‘আনকোরা’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল নিয়ে নানা কথা শোনা গিয়েছিল। দেশের ক্রিকেটারদের কণ্ঠেও উইন্ডিজদের দলটিকে নিয়ে নানা কথা শোনা গিয়েছিল। সেই দলটির কাছেই টেস্ট সিরিজে ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টের পর এবার ঢাকা টেস্টে ৪ দিনেই ম্যাচ জিতে নিল উইন্ডিজরা।
শেষ ইনিংসে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য ছিল ২৩১ রান। তবে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এই লক্ষ্য ছোঁয়া সম্ভব হয়নি। ২১৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
অথচ দিনের শুরুটা বেশ ভালোই হয়েছিল স্বাগতিকদের। নিজেদের ২য় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা ক্যারিবীয়দের ধ্বসিয়ে দেন বোলাররা। বোনার এবং জশুয়া ডি সিলভা ছাড়া আর কেউই পৌঁছুতে পারেনি দুই অংকের ঘরে। বোনার করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৮ রান। ডি সিলভা করেন ২০ রান।
উইন্ডিজরা ২য় ইনিংসে গুটিয়ে যায় মাত্র ১১৭ রানে। তাইজুল নেন ৪ উইকেট। নাঈম হাসান নেন ৩টি।
আগের ইনিংসে ১১৩ রানের লিড থাকায় টাইগারদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩১ রানের। তবে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে এই লক্ষ্যটাই হয়ে দাঁড়ায় পাহাড়সমান।
আবারো ব্যর্থ সাকিবের বিকল্প হিসেবে দলে আসা সৌম্য সরকার। ফিরেছেন ১৩ রান করে। ব্যর্থতার চূড়ান্ত পরিচয় দিয়েছেন ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। সাজঘরে ফিরেছেন ১১ রান করে।
তামিম ইকবাল ফিফটি হাঁকিয়েছেন। তবে তার ইনিংসটা নিশ্চিতভাবেই সমালোচনার ঝড় তুলবে। ৫০ রান করেছেন মাত্র ৪৬ বলে। টেস্টে দলের বিপদের মুহূর্তে তার এমন ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অধিনায়ক মুমিনুল, অভিজ্ঞ মুশফিক, মোহাম্মদ মিঠুন কিংবা লিটন দাস, ক্রিজে সেট হয়েও কেউই খেলতে পারেননি দায়িত্বশীল ইনিংস। বড় করতে পারেননি নিজেদের ইনিংস।
মাত্র ১৫৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
নিভু নিভু হলেও আশার সলতেটা জ্বালিয়ে রেখেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। নাঈম-রাহীকে নিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে ভেড়াতে চেয়েছিলেন জয়ের বন্দরে। তবে সেই চেষ্টা বেশিক্ষণ চালিয়ে নিতে পারেননি তিনি। ওয়ারিকানের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে বিদায় নিয়েছেন মিরাজ। তার আগে খেলেছেন ৩১ রানের একটি ইনিংস।
কর্নওয়াল নিয়েছেন ৪টি উইকেট। ওয়ারিকান ও ব্র্যাথওয়েট নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।
নদী বন্দর / পিকে