পশ্চিমবঙ্গে চলছে বিধানসভার নির্বাচন। জমে উঠেছে ভোটের লড়াই৷ শাসক দল তৃণমূল ও বিজেপির নেতানেত্রীদের মধ্যে চলছে বিতন্ডা। সবাই উঠে পড়ে লেগেছেন দলের ইমেজ বাড়াতে৷ গ্রহণ করছেন নির্বাচনের নানা কৌশল।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার মমতা ব্যানার্জির দলের জন্য শুভেচ্ছা নিয়ে এলেন কলকাতার মেয়ে জয়া বচ্চন৷
কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে অবিজেপি দলগুলির লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ের পুরোভাগে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বঙ্গভোটে তৃণমূলকে সমর্থন করে কলকাতায় প্রচারে এসে সেই লড়াইয়ের কথাই মনে করিয়ে দিলেন সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ তথা অমিতাভপত্নী জয়া বচ্চন।
তিনি উল্লেখ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র লড়াকু নেত্রী, যিনি একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়ে চলেছেন সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করার স্বার্থে। মমতার প্রতি তার শ্রদ্ধা, ভালবাসার কথা প্রকাশ করলেন।জানালেন, মমতার নেতৃত্বে রাজ্যের আরও উন্নতি হবে, হবেই।
গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় কলকাতায় পা রেখেছেন জয়া বচ্চন। আগামী চারদিন তিনি এখানে থেকে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করবেন। আসলে একুশের বঙ্গভোটে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে রাজনৈতিকভাবে সমর্থন করছে সমাজবাদী পার্টি। মুলায়ম-অখিলেশের এই পার্টির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক। তাই সমাজবাদী পার্টির প্রতিনিধি হয়ে বাংলার ‘ধন্যি মেয়ে’ জয়া বচ্চন এসেছেন কলকাতায়। তৃণমূলের সমর্থনে প্রচার করতে। সোমবার টালিগঞ্জ থেকে তিনি রোড শো শুরু করবেন। এরপর আরও কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে তার।
এদিন বিকেলে তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজনৈতিক লড়াইয়ের বার্তা দিলেন জয়া। তিনি বললেন, ‘এখানে অভিনয় করতে আসিনি। তৃণমূলকে সমর্থন করি। তাই দলের তরফে এসেছি। আর এসেছি মমতাজির জন্য। তার মানসিক দৃঢ়তা, জেদ দেখে অনুপ্রাণিত হই। যে কাজ উনি করতে চান, তাতে আমার পূর্ণ সমর্থন আছে, থাকবে।’
এরপরই তিনি বিজেপি বিরোধী বার্তা দিলেন। বললেন, ‘আমার ধর্ম, আমার গণতান্ত্রিক অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। আর এখানে আমি মানে আমরা সবাই। এখানে একমাত্র মমতাজি এই অধিকার রক্ষার লড়াই লড়ছেন। তাকে যাঁরা অপছন্দ করেন, তাঁদের জন্য – লজ্জা! লজ্জা!’
এরপর ঐক্যের বার্তা দিতে বাংলার ‘ধন্যি মেয়ে’ জয়া শোনালেন চিরন্তন অনুপ্রেরণার শব্দ- ‘বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন/ বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন/ এক হউক, এক হউক, এক হউক / হে ভগবান।’
নদী বন্দর / পিকে