হিন্দি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে প্রীতি জিনতা। বেশ কিছু সিনেমা দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন তার অভিনয় যোগ্যতা। বলিউডের পাশাপাশি তেলেগু, পাঞ্জাবি ও ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি।
শুধু অভিনয় নয় স্পষ্টভাষী হিসবেও ভারতজুড়ে বেশ পরিচিত প্রীতি। আর তাই নানা সময়ে বিতর্কের মুখেও পড়তে হয় তাকে।
২০০১ সালের দিকে ভারত শাহ মামলায় তার পূর্ববর্তী বক্তব্য আদালতে ফিরিয়ে না নেওয়ার সাহসিকতা দেখানোর জন্য গডফ্রে ফিলিপস জাতীয় সাহসী পুরস্কার পেয়েছিলেন প্রীতি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রীতি মুখ খুলেছেন অতীতের সেই ঘটনার অভিজ্ঞতা জানিয়ে৷ তিনি জানান, মামলার শুনানি চলাকালীন ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’ সিনেমার শুটিং সেটে বেশ কিছু হুমকি পেয়েছিলেন তিনি। আর সেই সময় শাহরুখ খান, সালমান খান, সঞ্জয় গুপ্ত, মহেশ মাঞ্জরেকারসহ অনেকেই তাদের আগের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিলেও নিজের বক্তব্যে আঁটল ছিলেন প্রীতি।
তাই নানা মাফিয়া সংগঠন থেকে প্রাণনাশের হুমকিসহ মোটা অঙ্কের অর্থও চাওয়া হয়েছিল তার কাছে।
প্রীতি বলেন, ‘মামলার ঘটনার পর থেকে যে কোনো সিনেমায় নাম লেখানোর পরই নানা মাফিয়া সংগঠন থেকে অর্থ চাওয়া হতো আমার কাছে। তবে সে সময় আমাকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছে প্রযোজক নাসিম রিজভী। যে কোনো সমস্যা হলে আমি তার সাথে যোগাযোগ করতাম।
একবার একজন ফোন করে বললেন, ‘আমি ভাইয়ের লোক। আমার ৫০ লাখ টাকা লাগবে৷ সেই সমস্যা আমি কাটিয়ে উঠেছিলাম নাসিম রিজভীর জন্য।’
তবে পরবর্তীতে পুলিশ জানায় আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোট শাকিল এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত চার ব্যক্তির মধ্যে ফোন আলাপ থেকে প্রমাণ মেলে, এই ঘটনার আসামিরা হলেন চলচ্চিত্রের ফাইনেন্সার ভারত শাহ, প্রযোজক নাসিম রিজভী, তার সহকারী আবদুল রহিম আল্লাহ বকশ এবং দুবাই ভিত্তিক জুয়েলার্স এর মালিক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন।
নদী বন্দর / এমকে