ম্যানকাডিং আউটকে ঘিরে রীতিমতো দুই ভাগে বিভক্ত বিশ্ব ক্রিকেট। বোলিংয়ের সময় বোলার তার হাত থেকে বল ছাড়ার আগেই ব্যাটসম্যান পপিং ক্রিজ ছেড়ে গেলে, বোলার যদি নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্ট্যাম্প ভেঙে দেন, তাহলে সেটিকে ম্যানকাডিং আউট বলা হয়।
ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার ভিনু মানকড় সর্বপ্রথম এই আউট করেছিলেন বিধায় এটিকে তার নামেই রাখা হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কোরকার্ডে রান-আউট হিসেবেই লিপিবদ্ধ করা হয় ম্যানকাডিং আউটকে। ২০১৯ সালের আইপিএলে জস বাটলারকে ম্যানকাডিং করায় অনেক ক্রিকেটবোদ্ধার তোপের মুখে পড়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
তবে এই ম্যানকাডিং আউটের পক্ষেই রয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা, জনপ্রিয় ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। তার মতে, ব্যাটসম্যানরা আগেই পপিং ক্রিজ থেকে বের হওয়ার মাধ্যমে বাড়তি সুবিধা নিয়ে থাকে। যা বন্ধ করতে ম্যানকাডিং আউটের বিকল্প নেই।
সবশেষ আইপিএলের মঙ্গলবারের ম্যাচেও এটি নিয়ে কথা বলেছেন হার্শা। চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংসের শেষ ওভারে বোলিং করছিলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তার ওভারের দ্বিতীয় বলের সময় বলটি হাত থেকে ছাড়ার আগেই প্রায় এক মিটার এগিয়ে গিয়েছিলেন ননস্ট্রাইকে থাকা ড্যারেন ব্রাভো।
এই ছবিটি দেখেই মোস্তাফিজসহ বিশ্বের অন্যান্য বোলারদের ম্যানকাড আউট করার পক্ষেই রায় দেন হার্শা ভোগলে। স্পিরিট অব ক্রিকেটের দোহাই দিয়ে ম্যানকাড আউটকে যারা দোষের চোখে দেখেন, তাদের রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন হার্শা।
মোস্তাফিজের সেই ডেলিভারির ছবি টিভি পর্দায় দেখানোর পর ধারাভাষ্য কক্ষে বসে হার্শা বলেন, ‘দেখুন ব্রাভো কতটা বাইরে এখন। তাই আমি বলি যে, নিয়মের মধ্যে যা কিছু আছে, সেগুলোর পুরোটা সুযোগ নেয়ার কথা টিম মিটিংয়েও বলা উচিত। এক্ষেত্রে স্পিরিট অব দ্য গেমের কথা আনা নির্বোধ মানুষের কাজ।’