প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে বেসামাল হয়ে পড়েছেন ভারতের চিকিৎসকরা। পুরো দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল। করোনা সংক্রমণের এই গতি রুখতে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কলকাতাসহ বিভিন্ন রাজ্য জারি করেছে আংশিক ও পূর্ণ লকডাউন।
কিন্তু এর মধ্যেই করোনাবিধি লঙ্ঘন করে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলায় চলছিল শুটিং। খবর পেয়ে পুলিশ জনপ্রিয় অভিনেতা জিমি শেরগিলসহ একাধিক কলাকুশলীকে গ্রেফতার করে।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, পাঞ্জাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কার্ফিউ জারি করেছে। সেই নিয়ম লঙ্ঘন করে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক ঈশ্বর নিবাস চালাচ্ছিলেন শুটিং। প্রায় ১৫০ জন কলাকুশলী নিয়ে ঈশ্বর তার পরবর্তী ওয়েব সিরিজ ‘ইয়োর অনার ২’ এর শুটিং করছিলেন লুধিয়ানায়। এই সিরিজের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা জিমি শেরগিল। কার্ফিউ অমান্য করে পুরো টিম লুধিয়ানার একটি স্কুলে তিনদিন ধরে শুটিং করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখতে পায়, শুটিং ফ্লোরে নিয়মবিধির কোনো বালাই নেই। টিমের কোনো সদস্যের মুখে মাস্ক নেই, স্যানিটাইজেশনের কোনো ব্যবস্থা নেই, সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা। এ অবস্থায় অভিনেতা জিমি শেরগিলসহ পুরো টিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পরিচালক ঈশ্বর, অভিনেতা জিমি শেরগিলসহ পুরো টিমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যদিও পরিচালক ঈশ্বর নিবাস দাবি করেছেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই শুটিং করচিলেন তারা। গত ২৩ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত লুধিয়ানার ওই স্কুলে শুটিং করার জন্য অফিসিয়াল অনুমতি নিয়েছিল তাদের প্রোডাকশন টিম। অন্যায়ভাবে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের এমন অভিযোগে ‘ইয়োর অনার ২’ এর পুরো টিম হতাশ বলে জানান তিনি।
এদিকে, করোনা সংক্রমণ রুখতে ইতোমধ্যে মহারাষ্ট্র সরকার বলিউডের শুটিং বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে পিছিয়ে গেছে একাধিক সিনেমার মুক্তি। সিনেমার পাশাপাশি বন্ধ হয়েছে অন্যান্য ধারাবাহিকের শুটিংও।
নদী বন্দর / পিকে