বলিউডের অন্যতম তারকা জুটি প্রখ্যাত গীতিকার, কবি ও চিত্রনাট্যকার গুলজার এবং কিংবদন্তি অভিনেত্রী রাখি। তাদের প্রেম, বিয়ে ও বিচ্ছেদ আজও সবার কাছে মুখরোচক আলোচনার বিষয়। ভালোবাসায় একজন অন্যজনের প্রতি দিওয়ানা হয়ে থাকলেও একটি ভুল বোঝাবুঝির ঘটনাই ভেঙে দিয়েছিলো তাদের সম্পর্ক।
তবে তাদের এই ভাঙ্গনের গল্পের পেছনে দায়ী কেবল তারা দুজন নয়। এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছেন সঞ্জীব কুমার এবং সুচিত্রা সেনও।
ভারতের বেশকিছু স্বনামধন্য গণমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেসময় কাশ্মীরে ‘আঁধি’ নামক একটি সিনেমার শুটিং চলছিলো। সিনেমাটিতে সঞ্জীব কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন কলকাতার নায়িকা সুচিত্রা সেন। সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন গুলজার।
একরাতে সিনেমার শুটিং শেষে নিজ ঘরে পার্টি করছিলেন সঞ্জীব এবং সুচিত্রা। পার্টি শেষ করে সুচিত্রা নিজ ঘরে যাওয়ার সময় মদ্যপ সঞ্জীব তার হাত টেনে ধরেন। ঘটনাস্থলে গুলজার উপস্থিত হন। তিনি অবস্থা বেগতিক দেখে সুচিত্রাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান।
গুলজার সঞ্জীবের হাত থেকে টান দিয়ে সুচিত্রাকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন। এরপর সঞ্জীবের উপর রাগ ও ক্ষোভ ঝেড়ে সুচিত্রাকে তার ঘরে দিয়ে আসতে যান।
প্রায় ঘন্টা দুয়েক পর সুচিত্রার ঘর থেকে যখন গুলজার বের হচ্ছেন ঠিক সে সময়ই স্ত্রী রাখির সঙ্গে দেখা। এত রাতে সিনেমার নায়িকার ঘর থেকে গুলজারকে বের হতে দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন রাখি। ক্ষোভে তিনি চিৎকার শুরু করেন।
একসময় রাখির উচ্চকণ্ঠ শোনে হোটেলের স্টাফরাও চলে আসেন ঘটনাস্থলে। ধৈর্য্য হারা হয়ে যাওয়া গুলজার সেই সময় রাখির গায়ে হাত তুলে বসেন।
হোটেলের স্টাফদের মতে, সেই রাতে রাখিকে বেশ শক্তভাবেই প্রহার করেন গুলজার। সেই ঘটনা থেকেই ভেঙ্গে যায় গুলজারের সম্পর্ক।
গুলজার-রাখি জুটির কন্যা মেঘনা গুলজার পৃথিবীতে আসার পরপর ১৯৭৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় তাদের। ঘটনাটি আজও ঘুরে বেড়ায় ভারতীয় সিনেমাপাড়ায়। সুচিত্রাও এই ঘটনায় বেশ লজ্জিত ছিলেন।
নদী বন্দর / জিকে