ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। ইতোমধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে নেয়া হয়েছে ব্যাপক সতর্কতা। বন্ধ রাখা হয়েছে সমুদ্রে মাছ ধরা, খালি করা হয়েছে উপকূলীয় অঞ্চল। তবে এমন দুর্যোগে যাদের বাড়িঘর মজবুত নয় তাদের চিন্তা থেকেই যায়। এমনই একজন হলেন রাজ্যটির পশ্চিম মেদিনীপুরের সোনামুই গ্রামের বাসিন্দা শিখা চক্রবর্তী।
বাঁশের কঞ্চি, বেড়া ও মাটিলেপা ছোট একটি বাড়িতে বসবাস তার। এর আগে ‘আম্ফান’ এবং ‘বুলবুল’ শিখার মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তাই ধাবমান ‘ইয়াস’ নিয়ে চিন্তায় তার রাতের ঘুম উধাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ-অভিনেতা দেব।
জানা গেছে, একাধিকবার সরকারি সাহায্য চেয়েও পাননি শিখা। সম্প্রতি স্থানীয় এক গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে করা প্রতিবেদন অনলাইনে ছড়িয়ে পরে। সেই খবর দেবের চোখে পড়তেই সোনামুই গ্রামে প্রতিনিধি পাঠান দেব। অসহায় এই নারীকে নতুন বাড়ি করে দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেবের পাঠানো প্রয়োজনীয় খাবার এবং আর্থিক অনুদান তার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ঝড়ের সময় শিখা যাতে নিরাপদে থাকতে পারেন সেজন্য একটি অস্থায়ী বাড়িরও ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন দেব। তবে সেই বাড়িতে থাকতে চান না ওই নারী।
নদী বন্দর / সিএফ