করোনাভাইরাসের কারণে ১৪ ম্যাচ পর স্থগিত হয়ে গেছে পাকিস্তান সুপার লিগের ষষ্ঠ আসর। মাঠের খেলা পুনরায় শুরুর জন্য তারা বেছে নিয়েছে ৫ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত। তবে নিজেদের দেশ পাকিস্তানে নয়, আরব আমিরাতে হবে পিএসএলের বাকি থাকা ২০টি ম্যাচ।
করোনা শঙ্কা পেরিয়ে পিএসএল শুরুর সূচি ও ভেন্যু করলেও, এখন নতুন চিন্তার সামনে পড়ে গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এখন উত্তপ্ত গ্রীষ্মকাল আমিরাতে। সাধারণত অতিরিক্ত গরমের কারণে বছরের এ সময়টায় নিজেদের মাঠে কোনো খেলা আয়োজন করে না আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড।
এবার একপ্রকার অপারগ হয়েই, তীব্র গরমের মধ্যে আমিরাতের মাঠে পিএসএল আয়োজনের পথ বেছে নিয়েছে পিসিবি। উপমহাদেশের খেলোয়াড়রা সাধারণত তীব্র গরম আবহাওয়ারর সঙ্গে পরিচিত হলেও, বিদেশি খেলোয়াড়দের এমন আবহাওয়া আরও অনেক বেশি কঠিন ও প্রতিকূল।
এই সমস্যা সমাধানে প্রাকৃতিক উপায় বের করেছে পিসিবি। খেলাগুলো চলাকালীন সময়ে খেলোয়াড়দের বেশি বেশি ডাবের পানি খাওয়ানো হবে বলে ঠিক করেছেন আয়োজকরা। এছাড়া আগের চেয়ে বেশি বিরতি, বরফের ব্যবহার এবং হালকা-পাতলা কাপড়ের জার্সি পরার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
পিএসএল চলাকালীন প্রায় পুরোটা সময় আবুধাবিতে দিনের বেলা তাপমাত্রা থাকবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই বেশিরভাগ ম্যাচ রাতেই রেখেছে পিসিবি। এর মধ্যেও ছয়দিন রয়েছে দুইটি করে ম্যাচ। সেদিন দিনের ম্যাচগুলো হবে বিকেল ৫টা থেকে। তখনও তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির আশপাশেই ঘোরাঘুরি করার কথা রয়েছে।
তবে এটির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী পেশোয়ার জালমির কোচ মোহাম্মদ আকরাম। তিনি বলেছেন, ‘এটা খুবই কঠিন হবে, তবে অসম্ভব নয়। এই পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নেয়া যায়, সে ব্যাপারে সবাই মিলে আলোচনা করছি আমরা, বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের জন্য।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখার জন্য যত বেশি সম্ভব ডাবের পানি খাওয়ার চিন্তা করেরছি আমরা। আমাদের শরীরকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে, যেন ক্র্যাম্পের ঝুঁকি কমানো যায়। আর যেহেতু বেশিরভাগ ম্যাচ রাতে, তাই হিট স্ট্রোক নিয়ে চিন্তিত নই আমরা।’
নদী বন্দর / সিকে