1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
‘ইয়াসে’ বিধ্বস্ত ২৬ হাজার ঘরবাড়ি, ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ লাখ মানুষ - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩ জুন, ২০২১
  • ১৫০ বার পঠিত

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ ভারতের উপকূলে আঘাত হানলেও বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়ে। ‘ইয়াস’র প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস, ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বয়ে যায় ঝড়ো হাওয়া। এতে বাঁধ, ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। ক্ষতির মুখে পড়ে উপকূলের হাজার হাজার মানুষ।

দুর্যোগের পর স্থানীয় প্রশাসনের দেয়া প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান তৈরি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর। আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতি ও জরুরি চাহিদা (এসওএস) নিরূপণ ফরমের মাধ্যমে পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে এই ক্ষতির পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের ১৬ জেলার ৮২ উপজেলা এবং ১৩ পৌরসভায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র প্রভাব পড়ে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ লাখ মানুষ। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার ঘরবাড়ি এবং মারা গেছে নয়জন।

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ গত ২৬ মে দুপুর ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে ভারতের ডামরার উত্তর এবং বালাশোরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করে।

এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক বলেন, ‘এসও-এস ফরমে স্থানীয় প্রশাসন থেকে আমরা ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব পেয়েছি। তবে এটি যাচাই করা না। জেলা প্রশাসনের সব ডিপার্টমেন্ট মিলে ডি-ফরমে চূড়ান্ত হিসাব পাঠাবে। সেই হিসাবটাই মূলত বিবেচনায় নেয়া হবে। দুর্যোগ শেষ হওয়ার ২১ দিনের মধ্যে এই হিসাব জেলা প্রশাসন থেকে পাঠানোর নিয়ম।’

‘ইয়াসে’ সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সাতক্ষীরা জেলায়। এই জেলায় ৯৪ হাজার ৮৫০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সাতক্ষীরার আশাশুনি, দেবহাটা, কালীগঞ্জ, শ্যামনগর উপজেলার পৌনে ছয় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে গেছে। এছাড়াও ছয় হাজার ৭৩৮ হেক্টর মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাগেরহাট জেলায় ২৪ হাজার ৯১৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখানে ৬৯০টি ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। বরগুনায় বিভিন্ন উপজেলার ১৭ হাজার ৩২০ জন মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই জেলায় এক হাজার ৮০০টি ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।

বরিশালের ১০ উপজেলা এবং ছয় পৌরসভার এক লাখ ২৭ হাজার ১৬২ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বরিশালে এক হাজার ২০০ ঘরবাড়ি আংশিক ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।

ভোলার বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন, মনপুরায় প্রভাবে পড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক লাখ ৬৯ হাজার ২৬০ জন মানুষ। ভোলায় সাত হাজার ৭৩০টি ঘরবাড়ি আংশিক এবং তিন হাজার ৫৭৯টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।

কক্সবাজারে ২০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দুই হাজার ৪৭০টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেনীতে ২০০ বাড়িঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝালকাঠির এক লাখ ৪৯ হাজার মানুষ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন, ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ৫০টি।

খুলনার চার উপজেলায় দুই হাজার ২৪০টি ঘরবাড়ি আংশিক ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাড়ে ছয় হাজার মানুষ। লক্ষ্মীপুরে ২২ হাজার মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

এছাড়াও নোয়াখালীতে দুই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং ১০০টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। পটুয়াখালীর আট উপজেলার পাঁচ লাখ ৫৯ হাজার ৩৬৩ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ জেলায় চার হাজার ২০৯টি বাড়িঘর আংশিক এবং ৪৮৪টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। পিরোজপুরে এক লাখ আট হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঝিনাইদহে ৯৪টি বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

নদী বন্দর / বিএফ

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com