করোনা বদলে দিয়েছে পৃথিবীর অনেককিছু। অনেক প্রতিষ্ঠিত মানুষকে পথে নামিয়েছে। বাড়িয়েছে বেকারত্ব। টানা লকডাউনের শিকার হয়ে অনেকের জীবনেই নেমে এসেছে অন্ধকার। একই প্রভাব পড়ছে বিভিন্ন দেশের শোবিজে।
লকডাউনের কারণে বন্ধ আছে শুটিং। বেকার হয়ে পড়েছেন অনেক শিল্পী ও কলাকুশলী। অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে অনেকে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। কেউ কেউ মৃত্যুকে বরণও করেছেন।
একই কারণে সম্প্রতি আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন ভারতীয় সিরিয়াল ‘মঙ্গলচণ্ডী’, ‘মনসা’র অভিনেতা শুভ চক্রবর্তী।
লকডাউনে হাতে কাজ নেই। বিধবা মায়ের কাছ থেকে শুনতে হয়, ‘৩১ বছর বয়সেও আমার ছেলে বেকার।’ এসব কারণে মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছে তাকে। তাই ফেসবুক লাইভ করে আত্মহত্যার চেষ্টা অভিনেতা শুভ।
৯ জুন বিকেলে ফেসবুক লাইভে একের পর এক ঘুমের ওষুধ খাচ্ছিলেন তিনি। ভিডিওর উপরে লেখা ‘আই কুইট’। অর্থাৎ আমি হার মেনে নিলাম। একইসঙ্গে তিনি গিটার বাজিয়ে গানও গাইছিলেন। তার বক্তব্য, ‘মানসিক অবসাদ গ্রাস করলে মানুষ বাঁচতে চায় না। আমি কাউকে দেখানোর জন্য করছি না। আমি সত্যিই আর বাঁচতে চাই না। সমস্ত ওষুধ আমি চিবিয়ে খাচ্ছি।’
ছাদ থেকে ঝাঁপ দেওয়া বা হাত কাটার মতো পন্থা তার ভাল লাগে না বলেও জানিয়েছেন। বেশি ঘুমের ওষুধ খেলে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন শুভ।
একইসঙ্গে তার বক্তব্য, এতগুলো ওষুধ খাওয়ার পরেও যদি তিনি বেঁচে থাকেন, তবে তিনি ফের ফেসবুক লাইভে আসবেন।
জনৈক ফেসবুক ব্যবহারকারী স্থানীয় থানায় খবর দিতেই পুলিশ ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করে শুভর বাড়ির ঠিকানা বার করেছে। অভিনেতার বাড়ি গিয়ে তাকে বাঁচাতেও পেরেছে পুলিশ। বাড়িতে শুভর মা ও দিদি ছিলেন। তারা এ সব বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
নদী বন্দর / বিএফ