চিলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে কোপা আমেরিকায় যাত্রা শুরু হয়েছিল আর্জেন্টিনার। তবে পরের দুই ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। উরুগুয়ের পর প্যারাগুয়ের বিপক্ষেও ১-০ গোলের জয় পেয়েছে ১৪ বারের কোপা আমেরিকা জয়ীরা।
এ জয়ের সুবাদে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানসহ কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিটও পেয়ে গেছে আলবিসেলেস্তেরা। এখন শেষ ম্যাচে বলিভিয়ার কাছে হারলেও নকআউট খেলা নিয়ে সমস্যা হবে না আর্জেন্টিনার।
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে এ জয়টিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে আরও একটি জয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড স্পর্শ করেছেন তিনি।
এতদিন ধরে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছিল হাভিয়ের মাচেরানোর দখলে। অবসর নেয়ার আগে ১৪৭ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। আজ প্যারাগুয়ের বিপক্ষে নিজের ১৪৭তম ম্যাচটিই খেলতে নেমেছিলেন মেসি।
ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাচেরানোর সঙ্গে একটি ছবি আপলোড করে মেসি লিখেছেন, ‘বেড়ে ওঠার পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জয়। আমার বন্ধু মাচেরানোর সমান সংখ্যক ম্যাচে নীল-সাদা জার্সিটি পরতে পেরে আমি গর্বি। তাকে (মাচেরানো) অনেক ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি, প্রশংসা করি।’
এদিকে কোপা আমেরিকায় সর্বোচ্চ ম্যাচের রেকর্ডও হাতছানি দিয়ে ডাকছে মেসিকে। এ পর্যন্ত মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে ৩০ ম্যাচ খেলেছেন মেসি। কোপায় সর্বোচ্চ ম্যাচের রেকর্ড চিলির সাবেক গোলরক্ষক সার্জিও লিভিংস্টোনের, ৩৪ ম্যাচ। চলতি আসরে ফাইনাল পর্যন্ত খেললে এ রেকর্ডে ভাগ বসাতে পারবেন মেসি।
জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বোচ্চ ম্যাচের রেকর্ড গড়লেও, টানা খেলার কারণে মেসির শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে চিন্তিত আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। আবার মেসিকে ছাড়া মাঠে নামার কথাও ভাবতে পারেন না তিনি। তাই এক দোটানার মধ্যেই রয়েছেন তিনি।
প্যারাগুয়েকে হারানোর পর স্কালোনি বলেছেন, ‘মেসি প্রতিটি ম্যাচ খেলছে এবং তার ওপরে নির্ভর না করাও আসরে কঠিন। যদিও মেসি এখন অনেক ক্লান্ত, তবু প্রতিদিনই ব্যবধান গড়ে দিচ্ছে।’
নদী বন্দর / এমকে