জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দলেই তাকে রাখা হয়নি প্রথমে। পরে হঠাৎ করেই ডাকা হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। শুধু ডাকাই নয়, একাদশেও রাখা হয়েছিল তাকে। হারারেতে টেস্ট শুরু হওয়ার পর যখন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অবস্থা চরম পর্যায়ে খারাপ, তখনই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন রিয়াদ। খেললেন ক্যরিয়ার সেরা ইনিংস। ১৫০ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি।
শুধু তাই নয়, নবম উইকেট জুটিতে তাসকিন আহমেদকে নিয়ে মাত্র ৪ রানের জন্য বিশ্বরেকর্ড গড়া হয়নি রিয়াদের। সেই রিয়াদই নাকি হঠাৎ ড্রেসিংরুমে বলে বসেছিলেন, এই টেস্টই তার শেষ। এরপরই অবসর নিয়ে নেবেন। যদিও শেষ পর্যন্ত কথাটা গুঞ্জনের পর্যায়েই সীমাবদ্ধ ছিল। আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
তবে হারারে টেস্টের শেষের দিনের খেলা শুরুর আগে আজ যে দৃশ্যের অবতারণা হলো, তাতে গুঞ্জনটা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তবে কী টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ দিনের খেলা খেলতে নামলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ?
শেষ দিনের খেলা শুরুর আগে ড্রেসিং রুম থেকে যখন ক্রিকেটাররা বের হচ্ছিলেন, তখনই দেখা গেলো দৃশ্যটা। ক্রিকেটাররা মাঠে না নেমে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে দুই সারি করে দাঁড়িয়ে যান। এর মধ্যখান দিয়ে বের হয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অর্থ্যাৎ, রিয়াদকে গার্ড অব নার দিলেন তার সতীর্থরা।
কিন্তু কেন? কেন হঠাৎ তাকে এভাবে গার্ড অব অনার দেয়া হলো? প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছে সবার মাঝেই। আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না এলেও হয়তো সতীর্থরা জানেন এটাই রিয়াদের শেষ টেস্ট। হয়তো এ কারণেই তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হলো।
এছাড়া তো কোনো ক্রিকেটারকে গার্ড অব অনার দেয়ার আর কোনো কারণ নেই। তাহলে কী ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলে ফেললেন রিয়াদ? ইএসপিএন ক্রিকইনফোর কমেন্টারিতেও বলা হলো একই কথা। তারা লিখেছে, ‘রিয়াদ চাচ্ছেন অবসর নিতে। যে কথা তিনি টেস্টের তৃতীয় দিন সতীর্থদের জানিয়েছিলেন।’ আজই হয়তো টেস্ট শেষ হলে জানা যাবে এ তথ্য।