1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
খুলনার টুটপাড়া কবরস্থানে মরদেহ দাফন বেড়েছে তিনগুণ - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘আমি আসছি, দেখা হবে ইনশাআল্লাহ’— প্রশিক্ষককে বলেছিলেন নিহত পাইলট তৌকির মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক, তবে চলবে এইচএসসি পরীক্ষা উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত বেড়ে ২০ রক্তের প্রয়োজন নেই, ভিড় না বাড়ানোর অনুরোধ বার্ন ইনস্টিটিউটের বিমান বিধ্বস্ত: শিক্ষার্থীদের বাঁচিয়ে শিক্ষিকা লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে বিমান দুর্ঘটনা: এক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: রাষ্ট্রপতির গভীর শোক প্রকাশ সাগরিকার এক হালিতে বিধ্বস্ত নেপাল, সাফে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ হতাহতদের ছবি বা ভিডিও প্রকাশ না করার আহ্বান আইন উপদেষ্টার বিমান বিধ্বস্ত: আগুন থেকে বেঁচে ফেরা এক শিক্ষকের ভয়াবহ বর্ণনা
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১
  • ১৫৬ বার পঠিত

‘আগে প্রতিদিন ১-২ জনের দাফন হতো। কিন্তু এখন দিনে ৫-৬ জনের দাফন করতে হচ্ছে। এমনও দিন গেছে, দিনে ৭-৮ জনকেও দাফন করতে হয়েছে। গভীর রাতেও দাফন করতে হচ্ছে। তবে আমি করোনাকে ভয় পাই না। লাশ দাফন শেষে গোসল করে বাড়ি চলে যায়।’

খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত খুলনা মহানগরীর অন্যতম টুটপাড়া কবরস্থানের খাদেম মো. নুর ইসলাম (৬৮) এভাবেই জানান কবরস্থানের বর্তমান পরিস্থিতি।

নুর ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ৪০ বছর ধরে এখানে কাজ করছি। বাড়ি প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে নগরীর লবনচরা আমতলা এলাকায়। যখন দাফনের কাজ না থাকে তখন কবরস্থানের সামনের গ্যারেজে বসে সময় কাটায়। টুটপাড়া কবরস্থানে এখন আর জায়গা ফাঁকা নেই। কবরের উপরেই দেয়া হচ্ছে কবর। বেশিরভাগ মানুষই এখানে কবর পাকা করে রেখেছে। যে কারণে এখন কবর দেয়ার জায়গাও খুঁজে পেতে সময় লাগে।’

শুধু নুর ইসলামই নন, এখানের আরও একজন খাদেম বদরুদ্দোজা বাবলুও (৫৯) জানান একই কথা।

বর্তমানে আরও ৯-১০ জন খাদেম রয়েছেন, যারা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করছেন। তারা কোনো বেতন পান না। মরদেহ দাফনের পর মৃতের স্বজনরা যে টাকা দেন সেটিই তাদের উপার্জন। একটি কবর খুঁড়তে অনেক পরিশ্রম হয়। ২-৩ জনে মিলে খুঁড়তে হয়। তাই স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ওই ৯-১০ জন এগিয়ে এসেছেন।

বদরুদ্দোজা বাবলু জানান, দুই বছরের বেশি সময় ধরে টুটপাড়া কবরস্থানে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করছেন তিনি। এই দুই বছরেই অনেক দাফন করেছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ের মত এতো বেশি দাফন আগে করতে হয়নি।

বাবলু জানান, তিনি ‘শেষ ঠিকানা’ নামে একটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। এখন অনেকেই মরদেহ নিয়ে আসেন যাদের দাফনের ব্যবস্থা করা হয় শেষ ঠিকানার পক্ষ থেকে।

কবরস্থানে খুলনা সিটি করপোরেশনের রেজিস্ট্রার মুফতি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আগের চেয়ে অনেকগুণ বেড়ে গেছে দাফনের সংখ্যা। করোনায় মৃতের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। এমন হয়েছে যে, মৃতের সঙ্গে আপনজন কেউ আসেননি। লোক দিয়ে মরদেহ পাঠিয়ে দিয়েছে, আমরা তা দাফন করেছি।’

নদী বন্দর / সিএফ

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com