রাজবাড়ীতে পদ্মা তীরবর্তী চার উপজেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পদ্মা নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই কমছে না বন্যা কবলিতদের দুর্ভোগ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি পাঁচ সেন্টিমিটার কমে ৭২ সেন্টিমিটার এবং রাজবাড়ী সদরের মহেন্দ্রপুর পয়েন্টে এক সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বেড়েছে পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে। এই পয়েন্টে পানি পাঁচ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রাবাহিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার চারটি উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী নিম্ন ও নিম্নাচরাঞ্চলের ১৩টি ইউনিয়নের ৬৭টি গ্রামের দশ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এসব এলাকা বিশুদ্ধ খাবার পানি, শুকনো খাবার ও গবাদি পশুর খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। নিম্ন ও চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় থাকা, খাওয়া ও চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বন্যা কবলিতরা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৩২৬ হক্টের ফসলি জমির ক্ষেত।
পানিবন্দি এলাকার অনেকের অভিযোগ, জেলা প্রশাসন তালিকা অনুযায়ী ত্রাণ সহায়তা দিলেও এখনও অনেক পরিবার কোন সহযোগিতা পাননি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এসএম সহীদ নূর আকবর জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষদের তালিকা তৈরি করে সে অনুযায়ী প্রণোদনা দেওয়া হবে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় ১০ হাজার ১৩৭টি পানিবন্দি পরিবারের তালিকা পাওয়া গেছে। তাদের সহায়তা করতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। দুর্গতদের জন্য এখন পর্যন্ত ২৪৮ মেট্রিকটন চাল ও নগদ সাড়ে ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণ ও নগদ অর্থ মজুদ আছে।