ভ্যাট কমিশনের অভিযানের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সবগুলো জাহাজভাঙা কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাতে জাহাজভাঙা কারখানার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারিতে চারটি জাহাজভাঙা কারখানায় অভিযান চালায় ভ্যাট কমিশন। এগুলো হলো- ভাটিয়ারি স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ড, প্রিমিয়ার ট্রেড করপোরেশন, মাহিনুর শিপব্রেকিং ইয়ার্ড ও এসএন করপোরেশন।
এ সময় ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে কারখানাগুলোর কার্যালয় থেকে বেশ কিছু নথি ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে সীতাকুণ্ডের সবগুলো কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বিএসবিআরএ সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড এলাকায় প্রায় ১৫০টি জাহাজভাঙা কারখানা রয়েছে। তবে এর মধ্যে অর্ধেকেরও কম কারখানা সচল রয়েছে। সচল থাকা কারখানাগুলোতে অন্তত ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। কারখানা বন্ধ ঘোষণায় বুধবার থেকে তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
বিএসবিআরএ’র সহকারী সচিব নাজমুল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই মঙ্গলবার চারটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে ভ্যাট কমিশন। কমিশনের তিনটি দল অভিযানের নামে কারখানাগুলোতে অফিসিয়াল কাগজপত্র তছনছ করেছে। এছাড়া কারখানা থেকে বেশ কিছু নথি ও কম্পিউটার ভ্যাট কার্যালয়ে নিয়ে গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার থেকে সব কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার হাসান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, মঙ্গলবার চারটি কারখানায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে- এমন সন্দেহে কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
নদী বন্দর / পিকে