করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী বানর উৎসব শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা এ উৎসবে অংশ নিয়েছেন। দেশটির লোপবুলিতে হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতেই মূলত এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে বানরের জন্য প্রায় দুই টন ফল ও সবজির ব্যবস্থা করা।
উৎসবে শত শত ম্যাকক বানরকে ফলের স্তূপ ও মানুষের শরীরের উঠে নাচতে দেখা যায়। কলা ও আনারসের ওপরেও বানরগুলো ছুটাছুটি করে। এদের লেজ খুব লম্বা হয়।
এই উৎসবের আয়োজনে থাইলান্ডের মুদ্রায় খরচ ধরা হয় এক লাখ বাথ। যা তিন হাজার ডলারের সমান। এটি স্থানীয়দের একটি বাৎসরিক ঐতিহ্যবাহী উৎসব। লোপবুরিতে বানরদের ধন্যবাদ দিতেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কারণ বানর ওই এলাকায় পর্যটকদের আকৃষ্ট করে থাকে। এটি বানর প্রদেশ নামেও পরিচিত।
৩০টিরও বেশি বানরের উৎসব আয়োজন করা ইয়ংইউথ কিটওয়াতানাউসন্ট বলেন, আজকের বানর উৎসবটি বিশেষ একটি আয়োজন। কারণ লোপবুরির বানর দামি জিনিস পছন্দ করে।
তিনি বলেন, এবারের বানর উৎসবের স্লোগান হলো হুইলচেয়ার বানর। উৎসব থেকে যা আয় হবে তা দিয়ে একশ মানুষের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হবে। করোনা মহামারির পর থ্যাইল্যান্ড পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে নভেম্বর থেকে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম বাতিল করেছে। অবশ্য এই সুবিধা শুধু যারা টিকা নিয়েছেন তাদের জন্যই। এরই মধ্যে থাইল্যান্ডে ভ্রমণকারীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে।
মরক্কোর পর্যটক আইয়ুব বুখারি বলেন, আমি এই উৎসব দেখতে পেরে সত্যিই খুশি। এখন আমি অন্য একটি উৎসবে যাওয়ার কথা ভাবছি। এটি বেশ অপ্রত্যাশিত ছিল। বানরগুলো অসাধারণ বলেও জানান তিনি।
কয়েকজন পর্যটককে ক্যামেরা নিয়ে বানরদের সঙ্গে খেলতে দেখা গেছে। ঐতিহ্যের পুনঃপ্রবর্তন স্থানীয়দেরও খুশি করেছে। থানিদা ফুদজিব নামের একজন বলেন, দুই বছরের মধ্যে এই প্রথম বানররা সব ধরনের ফল ও সবজি খেতে পারলো। আমি এদের জন্য খুশি।
নদী বন্দর / বিএফ