1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
কোটা নিয়ে কূটকৌশল - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নদীবন্দর ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৭ জুলাই, ২০১৮
  • ৭৫০ বার পঠিত

টি এস এলিয়ট এপ্রিলকে বলেছিলেন ‘ক্রুয়েলেস্ট মন্থ’—ক্রুরতম মাস। বাংলাদেশে এবার এপ্রিল মাসটা তেতে উঠেছিল। সারা দেশে রাজপথে নেমে এসেছিলেন ছাত্ররা। তাঁদের দাবি, সরকারি চাকরিতে ‘কোটাপ্রথা’ সংস্কার করতে হবে, কোটা ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। আর সে দাবির প্রতি সারা দেশের সব শ্রেণির মানুষের সাড়াও ছিল। বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মোট ২৫৮ ধরনের কোটা রয়েছে (আকবর আলি খান, প্রথম আলো, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ৩০%, জেলা ১০%, নারী ১০%, উপজাতি ৫% এবং প্রতিবন্ধী কোটা ১%। মোট ৫৬ শতাংশ।

বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতাসংগ্রাম—সব ধরনের স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁরাই অগ্রসেনা। এবারের আন্দোলনও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু যে প্রাবল্যে এবং দ্রুততায় মাত্র তিন দিনে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে, তাতে অনেকেই অবাক হয়েছে। গভীর রাতে হল থেকে ছাত্রীরা বেরিয়ে এসে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। এ এক অনন্য ঘটনা। বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ নতুন কিছু নয়; কিন্তু এবার তাঁরা যে ভূমিকা পালন করেছেন, তার অভিঘাত সুদূরপ্রসারী হবে বলেই সবাই বিশ্বাস করে।

সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে তেলেসমাতি চলছেই। ‘মেধা বনাম কোটা’ বিতর্ক নতুন নয়। বলতে গেলে, সেই সত্তর দশক থেকেই কোটা সংস্কারের সুপারিশ সরকারের টেবিলে। কোটার ভালো–মন্দ দুটি দিকই আছে। কিন্তু কোটা যখন মেধাকে অতিক্রম করে (এ ক্ষেত্রে ৫৬ ভাগ), তখন মেধা পরাস্ত হবে, এটাই স্বাভাবিক। আর রাষ্ট্র যদি মেধাবীদের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়, তবে ন্যায়বিচার, সুশাসন ও সাফল্য অর্জনও দুরূহ হয়ে উঠবে। তাই কোটার ন্যায্য সংস্কারের দাবি অনেক দিনের।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com