ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার একচ্ছত্র আধিপত্য চলছে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে ১৯৬ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা। ডেভিড ওয়ার্নার-মার্নাস লাবুশেনের ফিফটির পর ট্রাভিস হেডের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ৩৪৩ রান করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিন অন্যতম আলোচিত ঘটনা ছিল বেন স্টোকসের নো বল কাণ্ড। একবার-দুইবার নয়, নিজের প্রথম পাঁচ ওভারে ১৪টি নো বল করেছেন স্টোকস। এর মধ্যে নিজের প্রথম ওভারের প্রথম চারটি বলই ছিল ওভার স্টেপ করা। সবমিলিয়ে এই ১৪ বলের মধ্যে মাত্র দুইটি ধরতে পেরেছেন মাঠের আম্পায়ার।
যার মধ্যে প্রথমটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ১৩তম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসেন স্টোকস। ওভারের চতুর্থ বলে ওয়ার্নারকে আউট করে দেন তিনি। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, সেই বলে ওভারস্টেপিং করেছেন স্টোকস। ফলে বেঁচে যান ওয়ার্নার। পরে তিনি খেলেন ৯৪ রানের ইনিংস।
চলতি অ্যাশেজের ব্রডকাস্টিং চ্যানেল সেভেন পরে জানিয়েছে, স্টোকসের প্রথম পাঁচ ওভারে ১৪টি ডেলিভারি ছিল নো বল। যেখানে ১২টিই ধরতে পারেননি আম্পায়ার। অথচ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়মে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, প্রতিটি ডেলিভারিতেই টিভি আম্পায়ার চেক করবেন, সেটি নো বল ছিল কি না।
কিন্তু ব্রিসবেনের গ্যাবায় চলতি টেস্ট শুরুর ঠিক আগে দিয়ে গোলযোগ দেখা দেয় নো বল চেক করার মনিটরে। ফলে এই ম্যাচটিতে শুধু আউট হওয়ার বলই চেক করে দেখবেন থার্ড আম্পায়ার। যে কারণে ওয়ার্নারের আউটের বলটি চেক করলেও, সেই ওভারের আগের তিন বল চেক করা হয়নি। তাই বেঁচে যান স্টোকস।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো নো বল চেক করার জন্য টিভি আম্পায়ারকে আলাদা মনিটর দিয়ে ট্রায়াল করিয়েছিল আইসিসি। পরে গত বছর পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সিরিজে প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত হয় এই প্রযুক্তি। এর সফলতার কারণে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও অন্তর্ভুক্ত করা হয় নো বল চেক করার নিয়ম।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রযুক্তিগত ঝামেলার কারণে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে না গ্যাবা টেস্টে। তাই অন্তত ১২ বার নো বল করেও ধরা পড়েননি স্টোকস। যা মাঠের আম্পায়ারের একপ্রকার ব্যর্থতাও বটে।
এমন ব্যর্থতা অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচে এক স্পেলেই ১২টি নো বল ডাকেননি মাঠের আম্পায়ার। পরে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ২০১৯-২০ মৌসুমের সিরিজে এই গ্যাবায়ই দ্বিতীয় দিনের দুই সেশন মিলে ২১টি নো বল ধরতে পারেননি আম্পায়াররা।
নদী বন্দর / বিএফ