নোরা ফাতেহির পরিবারের সকলেই চাইতেন মেয়ে কোনো একটা চাকরি করুক। কিন্তু নোরার আগ্রহ ছিল মিডিয়া। পরিবারের সহযোগিতা না থাকায়, টিভি দেখে দেখেই নাচের অনুশীলন শুরু করেন। ছোট থেকেই তার স্বপ্ন ছিল তিনি বলিউডের নায়িকা হবেন। সেই সুযোগ আসে এক বিজ্ঞপনের মধ্যে দিয়ে। একজন মডেল হয়েই যাত্রা তার।
তারপর বলিউডে আগমন এবং নিয়মিত হওয়া। সেই অর্থে নায়িকা এখনো হতে পারেননি তবে সিনেমার সাফল্যে আইটেম গার্ল হিসেবে বলিউডে আপাতত নোরার বিকল্প নেই।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া নোরার গান ‘কুসু কুসু’ বেশ সাড়া ফেলেছে নেট দুনিয়ায়। নোরার গান মানেই ব্যবসা সফল। ভক্তরাও অপেক্ষায় থাকেন তার গানের জন্য। বলিউডের সেরা ড্যান্সারদের মধ্যে একজন তিনি।
এবার নতুন লুকে আসতে চলেছেন। নেট দুনিয়ায় এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে তার নতুন লুক। যেখানে তাকে ‘মৎস্য কন্যা’ হিসেবে দেখো গেছে। তার ছবিতে বুঝা যাচ্ছে ভক্তরা এবার নতুন এক নোরাকে দেখতে চলেছেন। তিনি ইনস্টাগ্রাম আইডিতে ছবিও প্রকাশ করেছেন।
সেখানে নোরা লিখেছেন, ‘আমি সব সময় সৃজনশীল কাজগুলোতে বেশি উত্তেজিত থাকি। চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। আমার কাছে যখন কাজটির প্রস্তাব আসে তাতে আমি রাজি হই। আমি মনে করি মৎস্যকন্যারা খুব রহস্যময় হয়। ছোটবেলায় আমি প্রচুর কার্টুন দেখতাম এবং মারমেইড আঁকতাম। তখন থেকেই মৎস্য কন্যাদের ভালো লাগে।’
তিনি যতটা সহজ ভেবেছিলেন পোশাকটি পরার পর বুঝতে পেরেছিলেন এটি নিয়ে চলাচল কষ্টের। পোশাকটির ওজন ছিলো ১৫ কেজিরও বেশি। নোরা জানান, পোশাকটি পরতেই দুই ঘন্টা সময় লেগেছে। পোশাকটি লেটেক্স এবং সিলিকন দিয়ে তৈরি করা হয়।
নতুন গানের পোশাকটি তৈরি করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তিন মাসেরও বেশি সময় লেগেছে বানাতে। গানের দৃশ্যের জন্য তাকে দীর্ঘ সময় জলে থাকতে হয়েছিল।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘ক্যামেরার মুখোমুখি হওয়ার সময় আমাকে সুন্দর এবং গ্ল্যামারাস দেখাচ্ছিল। কিন্তু এরকম পোশাক পরে শুটিং করা কঠিন ছিল। আমি ব্যথা পেয়ে কান্নাকাটিও করে ছিলাম। এ পোশাক পরে আমি নিজে থেকে যে নড়াচড়া করবো তারও কোনো উপায় ছিল না। তারা আমাকে স্ট্রেচারে করে সেটের ভিতরে এবং বাইরে নিয়ে যায়। অনেক অভিজ্ঞতা।’
নতুন এই গানটি কবে প্রকাশ হবে সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানাননি নোরা।
বস্কো মার্টিস পরিচালিত ভিডিওটি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে নোরা আরও বলেন, ‘এই গানের ভিজ্যুয়াল দর্শকদের স্তব্ধ করে দেবে। এ গানের মাধ্যমে আমরা নতুন একটি নৃত্যশৈলী চালু করেছি। মিউজিকও খুব আলাদা। আমি এটির জন্য অপেক্ষা আছি।’
নদী বন্দর / এমকে