মঙ্গলবার ম্যাচের চতুর্থ দিনের খেলা চলাকালীন সময়েই এক টুইটবার্তায় সাকিব আল হাসান লিখেছিলেন, বাংলাদেশের সাফল্যের চাবিকাঠি হবে মিরাজ। অর্থাৎ তার আশা ছিল ম্যাচের শেষ দেড়-দুই দিন মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের উইকেটে স্পিন ধরবে।
কিন্তু তা হয়নি। নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে তাণ্ডব চালিয়েছেন দুই পেসার এবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। দীর্ঘ ৯ বছর পর বাংলাদেশের পক্ষে পেসার হিসেবে ফাইফার নিয়েছেন এবাদত, তাসকিনের শিকার ৩টি উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর ভিতটা পাওয়া গেছে এবাদত-তাসকিনের এই বোলিংয়ের কল্যাণেই। চিরাচরিত স্পিননির্ভর আক্রমণ থেকে বেরিয়ে পেস দিয়েই প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজটা ভালোভাবেই করেছে বাংলাদেশ।
যা রীতিমতো চমকে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম লাথামকেও। ম্যাচ শেষে তিনি মেনে নিয়েছেন মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের উইকেটে কীভাবে খেলা দরকার তা বাংলাদেশই তাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছে।
লাথাম বলেছেন, ‘আমরা তিন বিভাগেই ঠিক ঐ মানের ক্রিকেট খেলতে পারিনি। বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই আমাদেরকে দেখিয়েছে এমন উইকেটে কীভাবে খেলতে হবে। তারা জুটি গড়তে পেরেছে এবং এবং আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা লম্বাসময় ধরে এটি করতে পারিনি।’
সাধারণত দেখা যায়, কোনো ম্যাচ হারের পর বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের কণ্ঠে ১৫-২০-৩০ রানের আক্ষেপ। অর্থাৎ আর কিছু রান করতে পারলে গল্পটা ভিন্ন হতো- এমনটাই বলে থাকেন টাইগার অধিনায়করা। এবার সেই একই কথা শোনা গেলো লাথামের কণ্ঠে।
কিউই অধিনায়কের ভাষ্য, ‘আমরা জানতাম পুরো বিষয়টা ঠিক কেমন হতে পারে। যদি আমরা প্রথম ইনিংসের দিকে তাকাই, যে অবস্থানে ছিলাম সেখান থেকে যদি ৪৫০ রান করতে পারতাম তাহলে পুরো গল্পটা ভিন্ন হতে পারতো। তবে অবশ্যই বাংলাদেশ দলের পূর্ণ কৃতিত্ব, তাদের এ জয় প্রাপ্য।’
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে হারলেও এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভালে দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় কিউই অধিনায়কের। প্রথম ম্যাচের তুলনায় দ্বিতীয় ম্যাচের উইকেট ভিন্ন হবে। তাই সেখানে ভালো পারফরম্যান্সের আশায় রয়েছেন লাথাম।
নদী বন্দর / জিকে