অভিনেত্রী ও স্ত্রী মৌসুমীকে বিরক্ত করায় জায়েদকে চড় মেরেছেন, জায়েদ পাল্টা ক্ষিপ্ত হয়ে বন্দুক বের করে বলেন, মেরে দেব- শনিবার রাত থেকে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। জায়েদ খান বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেন।
তবে ওমর সানী ঘটনাটিকে সত্য বলছেন। ওমর সানী বলেন, রাত ৯ টায় ডিপজল ভাইয়ের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাই।
জায়েদ অনেক দিন ধরেই বেয়াদবি করে আসছিল। ওকে আমি সরাসরি পাচ্ছিলাম না। জানতাম বিয়েতে আসবে। ওকে কথায় কথায় চড় দেই। তখন জায়েদ পিস্তল উঠিয়ে গুলি করতে চায়। ওর কাছে তো লাইসেন্স করা পিস্তল আছে এটা তো সবাই জানেন। ’
ওমর সানী আরও বলেন, ‘জায়েদ খান তো সব সময় পিস্তল নিয়ে ঘোরে। ক্ষমতা দেখায়। ইন্ডাস্ট্রিতে ওর অত্যাচার সহ্য করতে করতে অনেকেই বিরক্ত। কেউ হয়তো মুখ ফুটে বলে না মানসম্মান হারানোর ভয়ে। আমি ভাবলাম, আর দেরি নয়, এখনই শুরু করতে হবে। তাই চড়টা দিয়ে শুরু করলাম। আমি চড় মেরেই বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে যাই। ’
জায়েদের অভিযোগ অনেক বলে মন্তব্য করেন ‘আখেরি হামলা’ খ্যাত এই অভিনেতা। তিনি বলেন, জায়েদের বিষয়ে প্রচুর অভিযোগ আছে। সে অনেক সংসার ধ্বংস করেছে। জায়েদ খানের এই ধরনের অভিযোগের গাছের বয়স তো প্রায় ৪ হাজার বছর!’
তবে এ বিষয়ে এখনই আইনি কোনো পদ্দক্ষেপ নিতে চান না ওমর সানী। তিনি বলেন, জায়েদ যেসব কাজ করেছে তার অনেক প্রমাণ আমার ছেলের কাছেও রয়েছে। এখনই আইনি পদক্ষেপ নেব না, চলচ্চিত্রের যারা মুরব্বী রয়েছেন তাদের সঙ্গে বিষয়টি আলাপ করবো।
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘আপনারা চাইলে খোঁজ খবর নেন। যেখানে বিয়ের অনুষ্ঠান সেখানে আর্মস ক্যারি করা যায় না। তাছাড়া সানী ভাইয়ের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়েছে চড় মারার ঘটনা ঘটেনি। ‘
নদী বন্দর/এসএফ