৪টার দিকে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
বাল্লা সীমান্তে বাংলাদেশ অংশে নদীর প্রবেশদ্বারে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নবীগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জের পর এবার লাখাই উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিনহাজ আহমেদ শোভন জানান, কুশিয়ারার পানি অব্যাহতভাবে বাড়ছে। নদীর বাঁধ উপচে পানি হাওরে প্রবেশ করার ফলে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। দিঘলবাগ, ইনাতগঞ্জ, বড় ভাকৈর, আউশকান্দি ইউনিয়নের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সোমবার সকাল থেকে খোয়াই নদীতে পানি বাড়ছে। বিকেল ৪টায় শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। রাতে পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
জেলা প্রশাসনের মুখপাত্র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহুরুল হোসেন জানান, নবীগঞ্জ, লাখাই, আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। রোববার (১৯ জুন) জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বন্যাকবলিত মানুষের আশ্রয়ের জন্য নবীগঞ্জে ১৩টি, লাখাইয়ে ১৫টি এবং আজমিরীগঞ্জে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দুর্গত মানুষদের সহায়তায় পর্যাপ্ত শুকনা খাবার, ওষুধ, মোমবাতি, দিয়াশলাই মজুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক সবকটি উপজেলায় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
নদী বন্দর/এসএফ