জি বাংলার সারেগামাপা রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছেন বাংলাদেশের মাইনুল আহসান নোবেল। বাংলাদেশের তারকা শিল্পীদের গান কভার করেই পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি। বিভিন্ন সময় উদ্ভট মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েন নোবেল। বির্তকের কারণে একাধিকবার খবরের শিরোনামে এসেছিল নোবেলের নাম। নোবেল আর বিতর্ক হয়ে উঠেছিলেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।
১১ জানুয়ারি (সোমবার) মধ্যরাতে হঠাৎ গান ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন নোবেল। নিজের ফেসবুকে পেজে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন এ গায়ক। কিন্তু সকালেই ভোল পাল্টালেন নোবেল। মুছে ফেলেন রাতের দেওয়ার ওই স্ট্যাটাস।
রাত আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটের দিকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন নোবেল। নোবেল তার পোস্টে লেখেন, ‘এগারোটা মাস দুই বাংলার মানুষকে বিনোদন দেওয়ার প্রতিদান তোমরা ভালোই দিলে আমাকে। মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিয়ে করে, সংসার এবং চার দেয়ালের চাপে কিছু ভুল স্ট্যাটাস দিয়েছি। এই তো আমার দোষ। ভাবছি গান-বাজনা ছেড়েই দেব। এতেই তো তোমরা খুশি? তবে তা-ই হোক। ভালো থেকো বাঙালি।’
ধারণা করা হচ্ছে, নেটিজেনদের ওপর রাগ করে এ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন নোবেল। ঠিক কী কারণে স্ট্যাটাস দিয়েছেন আবার কী কারণে মুছে ফেলেছেন তা জানতে নোবেলের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি তাকে।
‘তামাশা’ শিরোনামের একটি গান প্রকাশ করেছিলেন নোবেল। এ গানের প্রচার করতে গিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। গানটি প্রকাশের পর ক্ষোভ মেটান নেটিজেনরা। ডিসলাইকের ঝড় বয়ে গিয়েছিল গানটির ওপর।
এরপর সম্প্রতি প্রকাশিত হয় নোবেলর গাওয়া ‘অভিনয়’ শিরোনামের একটি গান। তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি সাউন্ডটেকের ব্যানারে প্রকাশ হওয়া এ গানটি। অনেকে ধারণা করছেন, গান নিয়ে হতাশায় ভুগছেন নোবেল। কারণ তার গাওয়া মৌলিক গানগুলো গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না শ্রোতাদের কাছে। তাই হয়তো গান ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
নদী বন্দর / পিকে