কিছুদিন আগেই বাংলাদেশি ওয়েব সিরিজ মহানগর দেখে মুগ্ধ মোশাররফ করিমকে কলকাতা থেকে ফোন দিয়েছিলেন ভারতীয় বাংলা ভাষার জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়। কদিন আগে কলকাতায় মোশাররফ করিমের মুখোমুখি হয়ে হাতজোড় করে সম্মানও জানিয়েছিলেন।
এবার নিজের বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়ে পেট ভরে খাওয়ালেন প্রসেঞ্জিত। এদের মধ্যে রয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, বিজরীসহ অনেকেই।
বিজরীর ফেসবুক থেকে জানা যায় আমন্ত্রিতদের দলে শাহনাজ খুশি, বৃন্দাবন দাস, দুই ছেলে সৌম্য ও দিব্য নির্মাতা সৈয়দ শাউকী।
চঞ্চলের সঙ্গে প্রসেঞ্জিত
ফেসবুকে নিজের অনুভূতি জানিয়ে বিজরী লিখেছেন, একজন শিল্পীর বিনয় তাঁকে মানুষ হিসেবে অনেক উঁচুতে নিয়ে যায়। সেটি প্রমাণ করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (বুম্বাদা)। তার সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার ও বিনয়ে আমরা মুগ্ধ হলাম। তিনি রাতের খাবারের আয়োজন করেছিলেন তার বাড়িতে আমাদের জন্য মানে বাংলাদেশের কিছু শিল্পীদের জন্য।
শাহনাজ খুশি,বৃন্দাবন দাস, সৌম্য ও দিব্য’র সঙ্গে
এই মডেল ও অভিনয়শিল্পী বলেন, চমৎকার সময় আমরা কাটিয়েছি তার বাড়িতে। ভীষণ পরিপাটি এবং শৈল্পিকতার ছোঁয়ায় পরিপূর্ণ এ বাড়িটির রয়েছে ঐতিহাসিক মর্যাদা। দারুণ একটি সময় কাটালাম আমরা। চঞ্চল চৌধুরী তোমাকে ধন্যবাদ এই উদ্যোগটি নেয়ার জন্য।
শাহনাজ খুশি লিখেছেন, একেক জনের পছন্দ একেক রকম। অভিনেতা হিসাবে প্রসেনজিৎ চাটার্জি কেমন, সে বিচার দীর্ঘদিন ধরে মানুষ করেছে, করছে,ভবিষ্যতেও আরও করবে! কিন্তু শিল্পের মানুষকে কিভাবে সম্মান দেখাতে হয় তা সত্যি উনার কাছে শেখার আছে!! বাসায় নিমন্ত্রন করা,অঢেল সময়/ গল্প এবং ডিনার সহ আন্তরিক আপ্যায়ন মুগ্ধকর।
ইন্তেখাব দিনারের সঙ্গে
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিল্পীদের কাজের প্রতি উনার এ সম্মান সত্যিই আমাদের অনেক শিক্ষা দেয়। আপাদমস্তক শিল্পীত এ শিল্পীর প্রতি সম্মান জানাই এবং তার দীর্ঘায়ু কামনা করি।
চঞ্চল চৌধুরীর কারণে এই আয়োজন হয়েছে বলে খুশিও জানালেন। বললেন, পুরো বিষয়টি যার কারণে সম্ভব হয়েছে, তিনি চঞ্চল চৌধুরী। ‘মনের মানুষ’ সিনেমার পর থেকে চঞ্চলের সাথে উনার প্রীতির সম্পর্ক, যেনো ঘরের ছেলে। অশেষ ধন্যবাদ বন্ধু, পুরো ঘটনার অনুঘটক হবার জন্য।
নদী বন্দর/এসএইচ