1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
জনভোগান্তি কমাতে কর্ণফুলী নদীতে ২ মাসের মধ্যে ফেরি চালুর আশা - Nadibandar.com
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২
  • ৯১ বার পঠিত

কর্ণফুলী নদীর ওপর প্রথম নির্মিত সেতুটি হচ্ছে কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু। প্রায় শত বছরের পুরোনো সেতুর স্থলে নতুন সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এতে করে সেখানে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। দীর্ঘদিনের পুরোনো সেতু হওয়ায় বেড়েছে ঝুঁকিও। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জনভোগান্তি।

আর এই ভোগান্তি লাগবে সেতুর নিচ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এরই মধ্যে ফেরির জন্য এপ্রোচ রোড নির্মাণের প্রাক্কলন শেষ করেছে। টেন্ডার পরবর্তী এপ্রোচ রোড নির্মাণ এবং ফেরি সংগ্রহ হলে আগামী দুই মাসের মধ্যে ফেরি চালুর আশাবাদ ব্যক্ত করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ)।

নতুন কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। অপরদিকে পুরোনো কালুরঘাট সেতুকে সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর উপযোগী করে তোলার জন্য বুয়েটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুয়েট কাজ শুরু না করলেও গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি এখন প্রায় জরাজীর্ণ অবস্থায়। প্রতিদিন শত শত যানবাহনে হাজারো যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে। একমুখী সেতু হওয়ায় এ পাড় থেকে ওপাড় যেতে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় যাত্রীদের।

এ অবস্থায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী কালুরঘাট সেতু পরিদর্শনে এসে নতুন সেতু না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক জনদুর্ভোগ লাগবে ফেরি চালুর সিদ্ধান্তের কথা জানান।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা জানান, কালুরঘাট সেতুতে ফেরি চালু এবং এপ্রোচ সড়ক নির্মাণের জন্য প্রাক্কলন (প্রপোজাল) তৈরি করছি। এরপর টেন্ডার হবে। আশা করছি দুয়েক মাসের মধ্যে ফেরি সার্ভিস চালু করতে পারবো।

এদিকে কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা জানান, প্রধানমন্ত্রী নতুন নকশায় কালুরঘাট সেতু তৈরিতে সম্মতি দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন নকশা চূড়ান্ত হওয়ায় এখন প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তৈরি হবে। তারপর কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) সঙ্গে লোন এগ্রিমেন্ট হবে। এরপর উঠবে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়।

তিনি আরও বলেন, একনেকে অনুমোদনের পর আমরা টেন্ডারে চলে যাব। ঠিকাদার নিয়োগ হবে। পরামর্শক নিয়োগ হবে। এসব আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করতে ২০২৩ সাল চলে যাবে। পুরোনো কালুরঘাট সেতুকে সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর জন্য বুয়েটকে পরার্মশক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরের আগে সেতু মেরামতের কাজ শেষ হবে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আমরা কালুরঘাট সেতু দিয়ে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালাতে পারবো। প্রথম দিকে বেশি না হলেও প্রতিদিন একটি ট্রেন চলাচল করবে। সেতুটি মেরামতের পর ছোট মিটারগেজ ইঞ্জিন দিয়ে চালানো যাবে ট্রেন।

নদী বন্দর/এসএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com