বাবা-মা দুজনই বলিউডের শক্তিমান তারকা। নব্বইয়ের দশক থেকে এখন পর্যন্ত বলিউডের সোনালি ফ্রেমের অন্যতম দুই জনপ্রিয় মুখ তারা। গোটা ক্যারিয়ারে কোনো বিতর্ক ছুঁতে পারেনি তাদের। তবে তাদের মেয়েই থাকছেন নিয়মিত আলোচনা-সমালোচনায়! বলছিলাম অজয়-কাজলকন্যা নাইসার কথা।
দিন কয়েক আগেই রাতের পার্টি থেকে টলতে টলতে বের হতে দেখা গিয়েছিল কাজল ও অজয় দেবগনকন্যাকে। মুখের লেপ্টে যাওয়া লিপলিস্ট, এলোমেলো চুলে সোজাভাবে হাঁটতে পারছিলেন না এই তারকাকন্যা। দেহরক্ষীরা রীতিমতো হাত ধরে গাড়িতে তুলে দেন নাইসাকে।
সেই ঘটনায় তুমুল হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছিলেন নাইসা দেবগন। এবার আরো একবার অনলাইনে আলোচনায় এলেন কাজলকন্যা। প্রকাশিত হয়েছে নাইসার নতুন একটি ভিডিও। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবারও ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের শিকার তিনি।
নতুন ভিডিওতে দেখা গেছে, পার্টিতে প্রবেশ করার আগে গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে সজোরে ধাক্কা খান নাইসা। গাড়িতে মাথা ঠুকে গেছে তনুজার নাতনির। ব্লু ডেনিম আর কমলা রঙা বেলুন স্লিভস টপে দেখা গেছে তাকে। নাইসার এমন আজব কীর্তি দেখে অনলাইনে সবার প্রশ্ন, ‘কোথায় হুঁশ থাকে মেয়ের?’ কেউ লিখেছেন, ‘এত বেসামাল কেন?’ অনেকেই তো কড়াভাবে ‘মাতাল মেয়ে’ বলেও বিদ্রূপ করতেও ছাড়েননি নাইসাকে। কেউ কেউ তাঁকে ‘নেশাখোর’ বলেও বিদ্রূপ করছেন।
এ বছর ২০-এ পা দিলেন অজয়কন্যা। তবে নাইসা এখন বলিউডের নাইট পার্টির পরিচিত মুখ। প্রায়ই খোলামেলা পোশাকে পাপারাৎসিদের ক্যামেরায় বন্দি হন নাইসা। তারকাসন্তান হওয়ার জেরে ক্যামেরা সব সময়ই ফলো করে তাঁকে। এর জেরে প্রায়ই বিদ্রূপের শিকার হন তিনি। প্রিয় বন্ধু ওরির সঙ্গে একাধিক পার্টিতে দেখা যায় কাজলকন্যাকে।
ওরহানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে একটা সময় কম চর্চা হয়নি। শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান, সাইফপুত্র ইব্রাহিম আলি খানের সঙ্গেও নিয়মিত পার্টি করেন নাইসা। বছরখানেকের মধ্যে কাজলকন্যার আমূল পরিবর্তন চমকে দিয়েছে সবাইকে। সুন্দরী হতে শরীরের ওপর নানা কাটাছেঁড়া করেছেন নাইসা, নিয়েছেন কসমেটিকস সার্জারির সাহায্য- এমনটাই অভিযোগ রয়েছে এই তারকাসন্তানের বিরুদ্ধে।
নাইসা বিদেশেই পড়াশোনা করছেন। সিঙ্গাপুরে হাই স্কুল শেষ করে সুইজারল্যান্ডের জিলায়ন ইনস্টিটিউট অব হায়ার এডুকেশনে ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়ছেন তিনি। তবে এখন থেকেই নিয়মিত ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের মুখে পড়তে হচ্ছে নাইসাকে। অবশ্য মেয়েকে এসব বিদ্রূপ থেকে বাঁচার পরামর্শ আগেভাগেই দিয়ে রেখেছেন কাজল।
মাস কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে কাজল বলেন, ‘সবাই সব সময় সন্তানদের ক্ষেত্রে রক্ষণশীল হয়। হওয়ার কথাও। যদিও কিছু মানুষ সমালোচনা করবেই। আমি নাইসাকে বুঝিয়ে বলেছি, যদি দুই-পাঁচজন মানুষ নেতিবাচক কথা লেখেন, তবে আরো ২৫০০ জন মানুষ রয়েছেন যারা তোমার সম্পর্কে সুন্দর কথা বলছেন। তোমাদের সেদিকে মনোনিবেশ করা উচিত।’
তবে কাজল নিজের কন্যাকে যতই পরামর্শ দিক, পাপারাৎসিদের চোখের আড়াল হওয়া সহজ নয় তার জন্য। নিয়মিত পার্টিতে উপস্থিত থাকাটাও তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে এখন, এমনটাই মনে করছেন অনেকে।সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা