পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় পদ্মা নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার (১৭ জুলাই) পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয় ১০ দশমিক ৩ মিটার।
রোববার থেকে সোমবার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পদ্মায় পানি বেড়েছে ২৬ সেন্টিমিটার। এছাড়া প্রতিদিন পানি বাড়ছে গড়ে ৫-২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। পানি বেড়ে যাওয়ায় পদ্মার চর এবং দু’কূলে জমি ও ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। এতে করে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টের পানি উন্নয়ন বোর্ডের রিডার হারিফুন নাঈম ইবনে সালাম বলেন, ১৫ জুন থেকে পদ্মার পানি বাড়ছে। ১৭ জুলাই পর্যন্ত একমাসে পদ্মায় পানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৯০ মিটার।
এদিকে পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার অসংখ্য কৃষকের আবাদি ফসল তলিয়ে গেছে। উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর মাঝে জেগে ওঠা মোল্লার চর, বিলবামনি, সাহেবনগর চরসহ আশপাশের চর ও ফসলি জমি ডুবতে শুরু করেছে। চরের আখ ও তিলের জমিতে পানি উঠে গেছে।
মাজদিয়া এলাকার কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, মধ্যবর্তী পদ্মার বিলবামনি চরে আমার তিন বিঘা আখের জমিতে পানি উঠে গেছে। এখন পর্যন্ত জমি পুরোপুরি তলিয়ে যায়নি। আখ তলিয়ে গেলে ক্ষতি হবে।
আনিসুর রহমান নামে এক কৃষক বলেন, আমার তিন বিঘা জমিতে বাদাম ছিল। সেটা কয়েকদিন আগে তুলে নিয়েছি। এখন এক বিঘা জমিতে থাকা তিল কাটতে শুরু করেছি। পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে দু-একদিনের মধ্যেই পুরো চরে পানিতে ডুবে যাবে।
উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, পদ্মার চরে জেগে উঠা সবচেয়ে বড় চর বিলবামনি। চরের প্রায় এক হাজার একর জমিতে আবাদ হয়। এবার এ চরে বাদাম, তিল ও আখের আবাদ করা হয়। কৃষকরা বাদাম তুলে ফেলেছে ও তিল তুলছে। আখের ক্ষেতে পানি ঢুকলেও তলিয়ে যায়নি। আখ তলিয়ে না গেলে ক্ষতি হবে না। আরও দু-চার দিন পর বুঝা যাবে আখ তলিয়ে যাবে কি না।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন বলেন, ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাত, পাহাড়ি ঢল ও বন্যার কারণে পদ্মার পানি দ্রুত বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় পানি বেড়েছে ২৬ সেন্টিমিটার। এভাবে বাড়তে থাকলে পদ্মার পানি অল্প কিছু দিনের মধ্যে বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে যাবে।
নদী বন্দর/এসএইচবি