ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সূত্রে বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থার কাছ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে জলভাগ এবং স্থলভাগের আয়তন সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণার্থে স্থলভূমি অর্থাৎ কৃষিজমি, বনভূমি এবং জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে এম. আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
আবদুল লতিফ জানতে চান- ‘ভূমিমন্ত্রী মহোদয় অনুগ্রহ করিয়া বলিবেন কি, বাংলাদেশের ভূখণ্ডের জলভাগের পরিমাণ কত? স্থলভাগের পরিমাণ কত? বিপুল জনগোষ্ঠীর কল্যাণার্থে স্থল ও জলভূমির প্রতিটি অংশ যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করিয়াছে কিনা এবং করিলে, তাহা কী?’
আরেক সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের (জামালপুর-৫) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জনান, ‘ব্যক্তি ও পরিবার ভিত্তিক কৃষিজমির মোট পরিমাণ ৮.২৫ একর অর্থাৎ ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে কোনো ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না। উক্ত মওকুফের আওতায় ইক্ষু আবাদ, লবণ চাষের জমি এবং কৃষকের পুকুর (বাণিজ্যিক মৎস্য চাষ ব্যতিত) অন্তর্ভুক্ত হবে। ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফের আওতাধীন কৃষি জমির সংশ্লিষ্ট প্রতিটি হোল্ডিং এর জন্য আবশ্যিকভাবে বার্ষিক ১০ টাকা হারে আদায় করতে হবে।’
নদী বন্দর / পিকে