তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ইউরোপে স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা না থাকলেও বাংলাদেশে আছে। স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ইউরোপে স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা নাই। যদি কোনো স্ত্রীকে স্বামী ডিভোর্স দেয়, কোনো ভাতা পায় না। কিন্তু বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা চালু করেছেন।’
রোববার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘আজ ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষ নানা ধরনের ভাতা পাচ্ছে। এই করোনাকালে কেউ আশা করেনি মোবাইল ফোনে টাকা পাবে। কিন্তু টাকা চলে গেছে। আমাদের আশপাশে শ্রীলংকা, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান- কোনো দেশে এই সহায়তা দেয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘সংগ্রামে-উন্নয়নে একটি নাম, তিনি হলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে আজকে আমরা সংকট পাড়ি দিয়েছি।’
বাংলাদেশ সঙ্কট মোকাবিলায় নিজেকে উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার শুরুতে যারা শঙ্কা প্রকাশ করেছিল, পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিল, টেলিভিশনের পর্দা গরম করেছিল যে হাজার হাজার লাশ পড়ে থাকবে, অনাহারে হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে, তাদের সেই শঙ্কাকে ভুল প্রমাণিত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব সঙ্কট কিভাবে মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হয়; তার উদাহরণ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও, বাংলাদেশ করোনা মহামারি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ উপমহাদেশে তৃতীয় এবং বিশ্বে ২০তম। বিশ্বের অন্য দেশের মতো আমরা নিজেকে করোনা থেকে রক্ষা করতে পারিনি। কিন্তু এখানে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ হয়েছে তা পৃথিবীর সামনে দৃষ্টান্ত। বিএনপি ও তার মিত্রতা এবং রাত ১২টার পরে যারা টেলিভিশন গরম করে, তারা এটা স্বীকার না করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।’
সরকারের উন্নয়ন ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষকে আশান্বিত করেছেন। মানুষ শুধু আশান্বিতই হয়নি, মানুষ আলোকিত হয়েছেন। গ্রামে আজ কুড়ে ঘর নেই, পন্য কুটির খুঁজে পাওয়া যায় না। কবিতায় কুঁড়ে ঘর আছে, বাস্তবে নেই। কুঁড়ে ঘর এখন পাকা ঘরে রূপান্তরিত হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশকে এগিয়ে নিতে চান না, দেশের নতুন প্রজন্মকে মেধায় সমৃদ্ধ করে এগিয়ে নিতে চান। শুধু বস্তুগত উন্নতি নয়, নতুন প্রজন্মের আত্মিক উন্নতিও তিনি ঘটাতে চান। এখন দেশে উন্নয়ন অর্জনে একটি নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
মধ্যযুগে বাংলাদেশ ধনী দেশ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ধনী ছিলাম বলেই এখানে বর্গীরা এসেছিল, ওলন্দাজরা এসেছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দৃশ্যপট আবার উল্টে দিতে চাই। আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ আবারো উন্নত ও ধনী দেশে রূপান্তরিত হবো। আমরা একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই।’
নদী বন্দর / পিকে