এক সপ্তাহ ধরে তিস্তার পানি বাড়ছে রংপুরের গঙ্গাচড়ায়। দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। তিস্তার ভাঙনের প্রায় দেড়শতাধিক পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ছে রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, বাসসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
তথ্য অনুযায়ী, গংগাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের নিম্নাচঞ্চল ও চরের আলফাজটারী, আনছারেরটারী, নরশিং মধ্যপাড়া, হাসানটারী, আলমারবাজার, গজঘণ্টা ইউনিয়নের নিলারপাড়া, আলালচর, ছালাপাকচর, গাওছোয়া, লক্ষীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, পশ্চিম ও পুর্ব ইচলী, বাগেরহাট, কেল্লারপাড়, কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা, চিলাখালচর, মটুকপুরচর, নোহালী ইউনিয়নের মিনারবাজার, নোহালীচর, বৈরাতীসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসত বাড়ি, গাছপালা, জমির ফসল।
মর্ণেয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জানান, তার ইউনিয়নে তিস্তায় ৫০ পরিবারের বেশি পরিবারের বাড়িঘর ভেঙে গেছে। কিছু পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে, বাকীদেরও দেওয়া হবে। তালিকা করা হচ্ছে।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. খোরশেদ আলম জানান, ভেঙে পড়া বিদ্যুৎ খুঁটি সরে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, ভাঙন কবলিত পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। নুতন করে যাদের বাড়ি ভেঙেছে তাদের দেওয়া হবে। ইউপি চেয়ারম্যানকে তালিকা করতে বলা হয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, লোল্যান্ড এলাকায় ভাঙন রোধে সরকারি কোনো বরাদ্দ নেই। তবে ভাঙন রোধে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদী বন্দর/এসএন