একদিন আগেই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক নেতার বাড়িতে আগুন দিয়েছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। বিজেপির ওই নেতা সংগঠনটির সংখ্যালঘু মোর্চার মণিপুর সভাপতি।
আর এবার দেশটির পাঞ্জাবে বিজেপির এক সিনিয়র নেতার বাসভবনের বাইরে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। গভীর রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের এই ঘটনার পর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলের পাশাপাশি পৌঁছেছে তদন্তকারী দলও।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বলছে, পাঞ্জাবের জলন্ধরে বিজেপি নেতা মনোরঞ্জন কালিয়ার বাসভবনের বাইরে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার গভীর রাতে ওই বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। পৌঁছেছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলও। কে বা কারা ওই হামলা চালাল, জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
দ্য হিন্দু বলছে, মঙ্গলবার ভোরে পাঞ্জাবের জলন্ধরে বিজেপির সিনিয়র নেতা মনোরঞ্জন কালিয়ার বাসভবনের বাইরে একটি গ্রেনেড বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। যদিও বিরোধী দলগুলো রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের পদত্যাগের দাবিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টিকে (এএপি) কোণঠাসা করে রেখেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পাঞ্জাবের সাবেক মন্ত্রী এবং বিজেপির জাতীয় নির্বাহী সদস্য মনোরঞ্জন কালিয়ার বাড়ির বাইরে রাত ১টার দিকে বিস্ফোরণটি ঘটে।
স্থানীয়দের দাবি, বিজেপি নেতার বাড়ি লক্ষ্য করেই গ্রেনেড হামলা হয়েছে। তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জলন্ধরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মনপ্রীত সিং।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি গ্রেনেড হামলা নাকি অন্য কিছু, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ডিসিপি জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পর রিপোর্ট দেবে ফরেনসিক দল। তার পরেই কী হয়েছে তা জানা যাবে।
অন্যদিকে জলন্ধরের পুলিশ কমিশনার ধনপ্রীত কৌর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “রাত ১টার দিকে আমরা বিস্ফোরণের খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে পুলিশের একটি দল। পরে পৌঁছায় ফরেনসিক দলও। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজও পর্যবেক্ষণ করছি।”
বিজেপি নেতা মনোরঞ্জন কালিয়া সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “রাত ১টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। তখন আমি ঘুমাচ্ছিলাম। প্রথমে ভাবলাম হয়তো বজ্রপাতের শব্দ। পরে আমাকে জানানো হলো যে, বাড়ির বাইরেই একটা বিস্ফোরণ হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও এসেছেন।”
এদিকে পাঞ্জাব রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে বিরোধী দলগুলো ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টিকে (এএপি) কোণঠাসা করে ফেলেছে। পাঞ্জাব বিধানসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের প্রতাপ সিং বাজওয়া বলেছেন, মনোরঞ্জন কালিয়ার বাসভবনে গ্রেনেড হামলার এই ঘটনা পাঞ্জাবে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার স্পষ্ট ইঙ্গিত।
নদীবন্দর/এসএইচ