ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সব জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, ‘হামাস এখন এক ধাপেই সব বন্দি বিনিময় এবং পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত।’
এদিকে, মিসরের রাজধানী কায়রোতে শনিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে হামাসের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, ইসরায়েল গাজায় ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়, যেখানে ১০ জীবিত জিম্মির মুক্তির শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ১৭ এপ্রিল হামাস সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। হামাস শুরু থেকেই আংশিক যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে পূর্ণাঙ্গ ও স্থায়ী সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তারা দাবি করে, যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অবশ্যই গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার অবসান, বন্দি বিনিময়, ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুই পক্ষ তিন ধাপে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল। এর প্রথম ধাপ বাস্তবায়িত হয় ১৯ জানুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত। তবে ১৮ মার্চ থেকে গাজায় আবার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরু হয়। মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি আক্রমণে দুই হাজার ৬২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রশাসন বলছে, পরবর্তী যে কোনো চুক্তিতে সব জিম্মির মুক্তির পাশাপাশি হামাসসহ গাজার অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। তবে হামাস এই দাবিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, দখলদারিত্ব ও শোষণের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ ফিলিস্তিনিদের জন্মগত অধিকার।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
নদীবন্দর/এএস