জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে দফায় দফায় কর্মবিরতির কারণে শুল্কায়নে ধীরগতির প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড ও টার্মিনালে কনটেইনারের চাপ বাড়ছে। এতে বন্দরের ইতিহাসে রেকর্ড কনটেইনার জট তৈরি হয়েছে।
২০ ফুট মাপের হিসাবে যেখানে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮টি, সেখানে মঙ্গলবার (২৭ মে) সবশেষ ৪৫ হাজার ৩৭৭ টিইইউস কনটেইনার রয়েছে। তবে সকাল পর্যন্ত বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজ ছিল ৮৭টি। বহির্নোঙরে পণ্য খালাস হয়েছে ৪৯টি কার্গোবাহী (খোলা পণ্য) জাহাজে। অপেক্ষমাণ ছিল ১৩টি কনটেইনারবাহী জাহাজ। জেটিতে কনটেইনার লোড-আনলোড হয়েছে ১২টি জাহাজে।
এর আগে, বন্দরে গত মঙ্গলবার (২০ মে) রেকর্ড ৪৪ হাজার ২৩১ টিইইউস কনটেইনার জমা হয়। এরমধ্যে ৪১ হাজারে নেমে এলেও আমদানি অনুপাতে শুল্কায়ন না হওয়ায় খালাস বিলম্বিত হয়। এতে আমদানি কনটেইনার বন্দরে নামলেও আনুপাতিক হারে খালাস হয়নি এবং রফতানি কনটেইনার জাহাজীকরণ বিলম্বিত হওয়ায় কনটেইনার জট বেড়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর অভ্যন্তরে ৯৫২০ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি ও বহির্নোঙর মিলে পণ্য ও কনটেইনারবাহী ১০৫টি জাহাজ বর্তমানে অবস্থান করছে। এরমধ্যে ৬৭টি জাহাজ থেকে কনটেইনার ও বাল্ক পণ্য খালাস চলছিল।
বন্দরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জাহাজ থেকে কনটেইনার বন্দরে নেমেছে ৬৫১১ টিইইউস, ঢাকা আইসিডি (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) থেকে এসেছে ৬২ টিইইউস। অফডকগুলো থেকে রফতানিপণ্য ভর্তি কনটেইনার এসেছে ২৬৯৫ টিইইউস এবং খালি কনটেইনার এসেছে ৮০৭ টিইইউস। একইভাবে ৩০০৯ টিইইউস কনটেইনার জাহাজীকরণ হয়েছে। ৭৬ টিইইউস কনটেইনার ঢাকা আইসিডিতে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া, অফডকগুলোতে আমদানিপণ্য ভর্তি কনটেইনার পাঠানো হয়েছে ১১৫০ টিইইউস। বন্দর থেকে ৯৫৪ টিইইউস খালি কনটেইনার অফডকগুলোতে পাঠানো হয়েছে। ১০২১ টিইইউস আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার অনচেচিজ সরাসরি আমদানিকারকদের ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বন্দর অভ্যন্তর থেকে ১৩৬৮ টিইইউস কনটেইনার পণ্য খালাস দেওয়া হয়েছে।
নদীবন্দর/এএস