বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সার কারামুক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চার মাস পর তিনি কারামুক্ত হন। সংবাদমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির।
এর আগে গত সোমবার (১১ আগস্ট) জামিন আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট শমীকে জামিনের আদেশ দেন।
এর আগে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল রাতে রাজধানী উওরা ৪নং সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ৫৩ নম্বর বাসা থেকে অভিনেত্রীকে আটক করা হয়। পর দিন ৯ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা এলাকার টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফকে হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সারকে গ্রেফতার আদেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী সরকার পতনের পর ১৪ আগস্ট দেশের ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন শমী কায়সার। তার বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
শমী কায়সার শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে। তার মা পান্না কায়সার আওয়ামী লীগের সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য। পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত শমী কায়সার কয়েক বছর ধরে সবখানে দলীয় প্রভাব খাটিয়েছেন। সবশেষ কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় বিটিভি ভবনে শিল্পীদের নিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ জানান তিনি। এছাড়া ‘আলো আসবেই’ নামে একটি বিতর্কিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তার কর্মকাণ্ড বেশ আলোচনায় আসে।
নদীবন্দর/জেএস