1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
পপগুরু আজম খানের জন্মদিন আজ - Nadibandar.com
শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ১৩৭ বার পঠিত

পুরো নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। সংগীত অঙ্গনে তিনি আজম খান নামেই পরিচিত। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ব্যান্ড জগতের মানুষরা বাংলার পপ সংগীতের কিংবদন্তিকে ‘পপগুরু’ বা ‘পপস্রমাট’ বলেও সম্বোধন করে থাকেন।

এই শিল্পীর জন্মদিন আজ।

বাংলাদেশের রক গানের এ জনকের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনির ১০ নম্বর কোয়ার্টারে। বাবা আফতাবউদ্দিন আহমেদ, মা জোবেদা খাতুন।

বাংলাদেশে স্বাধীনতা পরবর্তী একটি প্রজন্মকে রীতিমতো কাঁপিয়েছেন তিনি। শুধু বাংলাদেশেই নয় গোটা উপ মহাদেশেও আজম খান পেয়েছিলেন অসাধারণ জনপ্রিয়তা।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর আজম খান ‘উচ্চারণ’ নামে একটি ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। উচ্চারণের গান সংগীত জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। সেখানে আজম খানের সাথে তার বন্ধু নিলু আর মনসুর গিটার বাজিয়েছিলেন, সাদেক বাজিয়েছিলেন ড্রাম আর আজম খান প্রধান ভোকাল হিসেবে গান করেন।

১৯৭২ সালে বিটিভিতে একটি গানের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার মাধ্যমে তাদের গান তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেই অনুষ্ঠানের ‘এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ ও ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুু’টি সরাসরি প্রচার হয়। ব্যাপক প্রশংসা আর তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয় এ দু’টো গান।

১৯৭৪ সালের বাংলাদেশ টেলিভিশনে আরেকটি অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ’ (রেললাইনের ঐ বস্তিতে) শিরোনামের গান গেয়ে হৈ-চৈ ফেলে দেন আজম খান।

শিল্পীর পাড়ার বন্ধু ছিলেন ফিরোজ সাঁই। পরবর্তীকালে তার মাধ্যমে পরিচিত হন ফকির আলমগীর, ফেরদৌস ওয়াহিদ, পিলু মমতাজের সাথে। এক সাথে বেশ কয়েকটা জনপ্রিয় গান করেন তারা। এরই মধ্যে আরেক বন্ধু ইশতিয়াকের পরামর্শে সৃষ্টি করেন একটি এসিড-রক ঘরানার গান ‘জীবনে কিছু পাবোনা এ হে হে’। বলা হয়, এটি বাংলা গানের ইতিহাসে- প্রথম হার্ডরক গান।

ব্যক্তিগত জীবনে সহজ সরল জীবন যাপন করতেন আজম খান। বাংলাদেশের প্রখ্যাত সুরকার আলম খানের ছোটভাই তিনি। ১৯৭১ সালে একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঢাকায় সংঘটিত কয়েকটি গেরিলা অভিযানে অংশ নেন।

‘পপসম্রাট আজম খানকে একুশে পদক দেওয়া হোক’ এই দাবি উঠেছিল অনেক দিন আগে থেকেই। প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা আজম খানের ভক্তকুলদের সেই দাবি পূর্ণ হয়েছে। মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন আজম খান।

এখনো নিজের গাওয়া গানের মাধ্যমে বেঁচে আছেন আজম খান। তার গাওয়া ‘বাংলাদেশ’, ‘রেল লাইনের ঐ বস্তিতে’, ‘ওরে সালেকা, ওরে মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘অনামিকা’, ‘অভিমানী’, ‘আসি আসি বলে’ এর মতো অসংখ্য গান এখনো হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায়।

২০১০ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হন পপসম্রাট। ২০১১ সালের ৫ জুন পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যান তিনি। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।

নদী বন্দর / পিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com