কলকাতার রানাঘাট স্টেশনের সেই রানু মন্ডলের কথা মনে আছে? ভিক্ষে করতেন গান গেয়ে। হঠাৎ তার কণ্ঠে লতা মঙ্গেশকরের ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়’ গানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ায়। সেই সূত্রে তিনি রাতারাতি তারকা বনে যান। তাকে নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায় চারদিকে।
ডাক আসে মুম্বাই থেকেও। গান করেন বলিউডের ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’ সিনেমাতেও। আর সেই সুযোগটি করে দিয়েছেন হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয় গায়ক ও সুরকার হিমেশ রেশমিয়া। তিনি বেশ প্রশংসাও করেছিলেন রানুর ঐশ্বরিক কণ্ঠের।
তার সঙ্গে রেকর্ড করা গানের কিছু অংশ তুমুল ভাইরালও হয়েছিলো। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকসহ প্রায় সবখানেই বাজতে শোনা গেছে ‘তেরি মেরি’ শিরোনামের সেই গান।
কিন্তু অশিক্ষিত রানু নিজের জীবনের এই বাঁকবদলকে হজম করতে পারেননি। ভিক্ষুক থেকে হঠাৎ সম্মানের আসনে বসে যেন মাথাটাই বিগড়ে গেল। মানুষের সঙ্গে বাজে ব্যবহার, অহংকারে পতন হয়েছে তার। ফিরে যেতে হয়েছে আবার সেই রানাঘাটেই। ভিক্ষে করেই চলছে তার দিন।
সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন রানুর থেকে। আজকাল তার নাম শুনলে বিরক্তও হচ্ছেন অনেকে। সেই তালিকায় আছে রানুকে সিনেমার গানে সুযোগ করে দেয়া হিমেশও।
ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি হিমেশ রেশমিয়াকে একটি গানের অনুষ্ঠানে পাপারাজ্জিরা জিজ্ঞেস করে বসেন, ‘রানু মণ্ডল কাহা হ্যায়?’ তাদের এই প্রশ্নে ক্ষেপে যান হিমেশ৷ এর উত্তরে বলেন, ‘আমি কি রানুর ম্যানেজার? আমি কিভাবে জানব? শুনুন, আমি অনেককেই বলিউডে সুযোগ দিয়েছি ৷ রানু প্রথম নয় ৷ রানুর গলা অত্যন্ত ভালো ৷
লতা মঙ্গেশকরের মতো হারমনি রয়েছে ৷ তাই রানুকে ব্যবহার করেছি ৷ তবে রানু কোথায় আছে, কী করছে তা আমার পক্ষে সবসময় জানা সম্ভব নয়।’
নদী বন্দর / জিকে