সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম প্রবেশ করেছে। তাইতো নির্দেশনা থাকা শর্তেও চট্টগ্রাম হালদা নদীতে মাছ ধরেন কিছু কিছু মহল। বাধ্য হয়ে ডিমওয়ালা মাছ ধরা রোধে হালদা নদীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে বসছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা।
মিঠাপানির মাছের প্রজননক্ষেত্র হিসেবে হালদা নদী দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র। প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে হালদা নদীতে কার্প–জাতীয় (রুই, কাতলা ও মৃগেল) মা মাছ ডিম ছাড়ে। সামনেই এসব মাছের ডিম দেওয়ার সময়। তাই তো নদীর বাঁকে বাঁকে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা।
স্থানীয়রা নদীতে মাছ ডিম ছাড়ার সংবাদ পাওয়া মাত্রই নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহ করেন। নৌকা নিয়ে মানুষ নদীতে জাল ফেলে ডিম সংগ্রহ করেন। রাত যত বাড়ে, তত মানুষের হাঁকডাক বাড়তে থাকে নদীতে। ফলে এবার হালদা নদীতে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। হালদা নদীতে যারা মাছ ধরবেন তাদেরকে বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেই সিসি ক্যামেরা বসছে বলে জানান স্থানীয় সচেতন মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, সিটি ক্যামেরা বসলে অবৈধ জাল পেতে মা-মাছ নিধন রোধ, ইঞ্জিনচালিত নৌকা চালাচল বন্ধ, বালু উত্তোলন বন্ধ ও ডলফিনসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হালদা নদীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর হালদা গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া সাংবাদিকদের জানান, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নৌ-থানা ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে টহল জোরদার ও এবং মনিটরিং করার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ ঘোষিত হালদা নদী আমাদের জাতীয় সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। তাই হালদাপাড়ের বাসিন্দাদের সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
নদী বন্দর / জিকে